
ছবি: সংগৃহীত
কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক। দুই দেশের সীমান্তজুড়ে দেখা দিয়েছে সামরিক উত্তেজনা, আর গণমাধ্যমে শুরু হয়েছে বিশ্লেষণ—কে এগিয়ে সামরিক শক্তিতে?
পরিসংখ্যান বলছে, সেনাবাহিনী, বিমান ও নৌ-শক্তিতে ভারত বেশ এগিয়ে। যদিও পরমাণু সক্ষমতায় দুই দেশের অবস্থান প্রায় সমান। ১৯৪৭ সালে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর থেকেই দুই দেশ সমরশক্তি বাড়াতে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। কিন্তু অর্থনৈতিক দুর্বলতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় সাম্প্রতিক দশকে সামরিক দৌড়ে ভারতের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে পাকিস্তান।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ২০২৫-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, সামরিক শক্তিতে বিশ্বের মধ্যে ভারত রয়েছে ৪ নম্বরে, আর পাকিস্তান ১২ নম্বরে।
সেনা সংখ্যা:
ভারত: ১৪.৫ লাখ সক্রিয় সেনা
পাকিস্তান: ৬.৫ লাখ সেনা
বিমান বাহিনী:
ভারতীয় বিমান বাহিনীর বহরে রয়েছে ২০০০-এর বেশি সামরিক বিমান, যার মধ্যে আছে রাফায়েল, সুখোই, মিগ ও মিরাজের মতো উন্নতমানের ফাইটার জেট।
পাকিস্তানের বিমানবহরে আছে এফ-৬, মিরাজ ও জেএফ-১৭ থান্ডার—যার বেশিরভাগই চীনের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি।
নৌবাহিনী:
ভারত: দুটি বিমানবাহী রণতরি, ১৮টি সাবমেরিন ও ৩০০টির বেশি সামরিক জাহাজ (ডেস্ট্রয়ার, ফ্রিগেটসহ)।
পাকিস্তান: নেই কোনো রণতরি, রয়েছে মাত্র ৮টি সাবমেরিন ও মোট ১২১টি সামরিক জাহাজ।
আর্মার ও আর্টিলারি:
ভারতের রয়েছে ৪০০০+ যুদ্ধট্যাংক এবং ১.৫ লাখের বেশি সাঁজোয়া যান (APC)।
পাকিস্তানের ট্যাংক সংখ্যা ২৬০০ এবং সাঁজোয়া যান প্রায় ১৭,০০০।
পরমাণু শক্তি:
ভারতের হাতে রয়েছে আনুমানিক ১৭২টি পরমাণু অস্ত্র,
পাকিস্তানের হাতে রয়েছে প্রায় ১৭০টি পরমাণু অস্ত্র।
এই ক্ষেত্রেই দুই দেশ প্রায় সমানে সমান।
সামরিক ব্যয়:
ভারতের বার্ষিক সামরিক ব্যয় প্রায় ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার,
পাকিস্তানের ব্যয় ১১ বিলিয়ন ডলার-এর কিছু বেশি।
সামগ্রিকভাবে বিচার করলে ভারত সবদিক থেকেই সামরিকভাবে পাকিস্তানের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে। তবে পরমাণু শক্তির কারণে উত্তেজনার মাত্রা বহুগুণ বেড়ে যায়, যেখানে সামান্য ভুল বোঝাবুঝিও হতে পারে মারাত্মক বিপর্যয়ের কারণ।
ফারুক