
ছবি: জনকণ্ঠ
আজ (১ মে) আন্তর্জাতিক মে দিবস, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। এদিনেও জীবিকার তাগিদে চলছে সুমনের ভ্যান। মে দিবস কি তা তিনি জানেন না।বলছিলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ভ্যানচালক সুমনের কথা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় কথা হয় তার সাথে।
উপজেলার পৌর শহরের নারায়ণপুর গ্রামের আত্মপ্রত্যয়ী ও জীবন যুদ্ধে সংগ্রামী যুবক সুমন মিয়া (৩৫), ভ্যান চালিয়েই চলছে তার সংসার। পিতা রমান মিয়া, অনেক আগেই মারা গেছেন। সংসারের বড় ছেলে সুমন, মা-বাবার সংসারে রোজগারের কেউ ছিলনা বিধায় ২৫ বছর আগে বাধ্য হয়ে জীবিকা নির্বাহ করার পথ হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন ভ্যান চালকের পেশা।
সুমন জানায়, আমি প্রতিদিন পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় নতুন নির্মাণাধীন ভবন, বাড়ি, ঘর, ঠিকাদারি কাজের, ইট, রড, সিমেন্ট, বালি যথাস্থানে পৌঁছে দেই। প্রতিদিন আমি ৫০০ থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত রোজগার করি। এ রোজগারের টাকায় বর্তমানে আমার সংসার চলছে। অভাবের কারণে লেখাপড়া শেখা হয়নি সুমনের। সে কারণে জীবন জীবিকা নির্বাহের জন্য বেছে নিয়েছেন এই পেশা। বর্তমান তার সংসারের পাঁচ ছেলে রয়েছে। চার ছেলে লেখা পড়া করছেন। পাশাপাশি তার অসুস্থ মায়ের দেখাশোনা করছেন।
অসুস্থ মায়ের সেবা, চিকিৎসা খরচ এবং নিজের সংসারের অভাবের দিন শেষ হবে-এ জন্য সারাদিন পরিশ্রম করেন তিনি। সুমন সংগ্রামী জীবনযাপন করছে। সে দিন রাত পরিশ্রম করে ভ্যান চালিয়ে রোজগার করছেনন। সংসারের অভাব মোচন করার জন্য এ আত্মপ্রত্যয়ী যুবক জীবন যুদ্ধে অবিরাম সংগ্রাম করে চলেছেন। তার আশা ছেলেরা একদিন বড় হয়ে সংসারের হাল ধরবেন।
রবিউল হাসান