ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:৪৩, ২৭ মার্চ ২০২৫

যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত

পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর পালিত হয়েছে

বাংলাদেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশের মধ্য দিয়ে পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার  রাতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা বিভিন্ন মসজিদে জড়ো হয়ে লাইলাতুল কদরের নামাজ আদায় করেন। আল্লাহর নৈকট্য ও রহমত লাভের আশায় ইবাদত বন্দেগি করেন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের মতো বাংলাদেশের মুসলমানরাও নিজেদের গুনাহ মাফ ও মনোবাসনা পূরণের জন্য আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি এবং অধিক সাওয়াব হাসিলের আশায় নফল ইবাদত, কুরআন তিলাওয়াত, তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়, জিকির-আসকার আর বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে কাটিয়েছেন হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ এ রাত। মাহে রমজানের খায়ের বরকত হাসিলের জন্য মুসল্লিরা আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় দফায় দফায় মোনাজাতে অংশ নেন।
বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মুহিববুল্লাহিল বাকী দেশ ও জাতির জন্য দোয়া ও মোনাজাত করেন ।
আলেমরা জানান, ২০ রমজানের পর যেকোনো বিজোড় রাত শবে কদর হতে পারে। তবে ২৬ রমজানের  রাতেই শবে কদর পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মহান আল্লাহ মুসলমানদের জন্য হাজার মাসের চেয়েও উত্তম এমন একটি রাত নির্ধারণ করেছেন, যার নাম ‘লাইলাতুল কদর’।
এ রাত এত সম্মানিত যে, এক হাজার মাস ইবাদত করলেও যে সওয়াব হতে পারে, তার চেয়ে লাইলাতুল কদরের ইবাদতের সওয়াব অনেক বেশি। যে বেশির পরিমাণ একমাত্র আল্লাহই ভালো জানেন। লাইলাতুল কদরের ফজিলত বোঝানোর জন্য মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে ‘কদর’ নামে আলাদা একটি সুরা নাজিল করেছেন।
মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলিম মা বোনেরাও মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে বেশি বেশি নফল নামাজ, তাহাজ্জুদ, সালাতুস তাসবিহ, কাজা নামাজ, কুরআন তেলাওয়াত, দান-সাদকা, জিকির-আসকার, তাসবিহ-তাহলিল, তাওবা-ইসতেগফার, দুয়া-দুরুদসহ নফল আমলের প্রতি মনোযোগী ছিলেন বান্দার।

×