ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

জমছে প্রচার-প্রচারণা

জনকণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:৩৯, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

জমছে প্রচার-প্রচারণা

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ একাধিক পদে বিপুল সংখ্যক প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এরপর থেকেই নির্বাচনী প্রচারে মাঠে তৎপর রয়েছেন। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের পাঠানো-

বগুড়া
উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে বগুড়ার ৩টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বগুড়ার সোনাতলা, সারিয়াকান্দি ও গাবতলী উপজেলায়  চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ৩৬ জন মনোনয়ন দাখিল করেছেন। চেয়ারম্যান পদে পুরাতনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যুক্ত হয়েছে আরও ৯ জন। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ ও  মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। নিয়ম অনুয়ায়ী সবাই অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

সারিয়াকান্দি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মন্টু. বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য উপজেলা আওয়ামী লীগ  নেতা মোহাম্মেদ শাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক নেতা আব্দুস সালাম, উপজেলা যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক আশিক আহম্মেদ এবং সাবেক চেয়ারম্যান শাজাহন আলী। সোনাতলা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান লিটন ও আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন।

গাবতলীতে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান রফি নেওয়াজ খান রবিন, আওয়ামী লীগ নেতা অরুণ কান্তি রায় সিটন, যুবলীগ নেতা আব্দুল্লাহ হেল বাকী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাহানুর ইসলাম সাকিল ও চাকরি অবসর নেওয়া আতাউর রহমান।
 
যশোর 
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে যশোরের মণিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়ন দাখিলের পর ওই দুই উপজেলায় নির্বাচন জমে উঠেছে। বিএনপির কোনো নেতা মনোনয়নপত্র জমা না দিলেও জামায়াত এবার ‘স্বতন্ত্র’ ব্যানারে মাঠে নেমেছে। ফলে ভোটের মাঠে ভোটারের উপস্থিতি বাড়বে বলে মনে করছেন অনেকে।
গত সোমবার ছিল এই দুই উপজেলায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দেন। দুই উপজেলায় মোট ৩৪ জন মনোনয়ন দাখিল করেছেন। এর মধ্যে মণিরামপুরে চেয়ারম্যান পদে ৫ জনসহ ১৮ জন ও কেশবপুরে তিনটি পদে ১৬ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। 
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জনসহ ১৮ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। চেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানম, সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আমজাদ হোসেন লাভলু, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মিকাইল হোসেন ও জামায়াত নেতা প্রভাষক ফজলুল হক।

পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে যুবলীগ নেতা শরিফুল ইসলাম, জামায়াত নেতা  মাওলানা লিয়াকত আলী, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হক, মঞ্জুর আক্তার, সন্দীপ ঘোষ ও পিলাপ মল্লিক মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সুরাইয়া আক্তার, মাহাবুবা ফেরদৌস পাপিয়া, মহিলা জামায়াত নেত্রী গুলবদন, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান কাজী জলি আক্তার, মাজেদা খাতুন, আমেনা খাতুন এবং মুছা. জেসমিন মনোয়নপত্র দাখিল করেছেন। 
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, তিনটি পদের বিপরীতে মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের ৩ জন জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী। এ ছাড়া অন্য সব প্রার্থী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় বলে জানা গেছে। 
এদিকে, কেশবপুরে উপজেলা নির্বাচনে তিনটি পদে ১৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিলকারীরা হলেন- ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আকতার সাদেক, জামায়াত নেতা আব্দুস সামাদ, ব্যবসায়ী ইমদাদুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক এসএম মাহবুবুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক কাজী মুজাহীদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগে দপ্তর সম্পাদক মফিজুর রহমান ও মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান  আব্দুল্লাহ-নূর-আল আহসান। 
এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে- যুবলীগ নেতা  সুমন সাহা, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান পলাশ কুমার মল্লিক, ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম, জামায়াত নেতা ওজিহুর রহমান, যুবলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ রানা। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে- উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রাবেয়া খাতুন ও সাবেক কাউন্সিলর মনিরা খানম মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
 
গাইবান্ধা 
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে গাইবান্ধার সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলায় ২৭ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে সাঘাটা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং ফুলছড়ি উপজেলায় দুজন চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সোমবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে নির্বাচন অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সাঘাটার সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ওয়াজেদ আলী জানান, সাঘাটা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ মোট ১৪ জন প্রার্থী নিজেদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিলকারী প্রার্থীরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সামশীল আরেফিন টিটু , হাসান মেহেদী বিদ্যুৎ ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সামশীল আজাদ শীতল। সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রওশন আরা বেগম ও সাবেক সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজনীন বেগম মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া ৯ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন।

তারা হলেন- সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, মিলন কান্তি সরকার, আব্দুল মজিদ, রোস্তম আলী, মোখলেছুর রহমান, শাহজাহান আলী , উজ্জ্বল হোসেন, মমিতুল হক নয়ন ও আমির হোসেন। এদিকে ফুলছড়ি উপজেলা সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান জানান, ফুলছড়ি উপজেলায় ২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। বর্তমান চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাঈদ।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- আমজাদ হোসেন, আব্দুস সাত্তার, রাসেল বিন ওয়াহেদ, ইব্রাহীম ও হুকুম আলী। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- শাকিয়া পারভীন, আঞ্জু মনোয়ারা, মিনু বেগম, রাশেদা বেগম ও রাবেয়া বেগম।
 
শেরপুর  
উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১৫ জন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩৮ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে শ্রীবরদীতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ৭ নেতা ও এক জামায়াত নেতাসহ ৮ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান ১৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন এবং ঝিনাইগাতী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ৩ জন, বিএনপির ৩ জন ও জাসদের একজনসহ ৭ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান ১২ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

সোমবার বিকেল ৪টায় অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন শ্রীবরদী উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা একেএম মোরশেদ আলম ও ঝিনাইগাতী উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। 
জানা গেছে, শ্রীবরদীতে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী আওয়ামী লীগ নেতারা হচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ছালাউদ্দিন ছালেম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান সুজা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম ভাসানী, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আকন্দ, উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক জাহিদুল ইসলাম জুয়েল ও কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা খন্দকার ফারুক আহমেদ। অপর প্রার্থী হচ্ছেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বাদল। 
ঝিনাইগাতী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী আওয়ামী লীগ নেতারা হচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম আমিরুজ্জামান লেবু ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ। আর বিএনপি নেতারা হচ্ছেন দুইবারের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা, মো. সোহরাওয়ার্দী বাহাদুর লাল ও মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। এ ছাড়া অপর প্রার্থী হচ্ছেন উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক একেএম ছামেদুল হক।

রংপুর 
প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে রংপুরে ৩০ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পীরগাছা ও কাউনিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আটজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে পীরগাছা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের শাহ মো. মাহবুবার রহমান, পীরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তছলিম উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন, যুগ্ম সম্পাদক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুল হক ও রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মনোয়ারুল ইসলাম মাসুদ মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাতজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এদিকে কাউনিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম মায়া, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক ও আয়কর আইনজীবী হুমায়ুন কবীর মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

এ ছাড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয় ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। সোমবার বিকেলে রংপুর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মোতাহ্সিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

মুন্সীগঞ্জ  
সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আনিছউজ্জামান। আাজ ১৭ এপ্রিল মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর বৈধ হলে তিনি এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন। আর তিনি মুন্সীগঞ্জ পৌর নির্বাচনে যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আনিছউজ্জামান।

সোমবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আনিছউজ্জামান ছাড়া কেউ মনোনয়নপত্র জমা দেননি। তাই আনিছউজ্জামান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা আনিছউজ্জামান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিনের ছোট ভাই, মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লবের আপন চাচা ও পৌরসভার মেয়র চৌধুরী ফাহরিয়া আফরিনের আপন চাচা শ্বশুর।

এ ছাড়াও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাজমুল হাসান সোহেল ও ইকবাল হোসেন জনি। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাছিনা বেগম ও অ্যাডভোকেট সালমা বেগম। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় নির্বাচন হবে আগামী ৮ মে।
 
নীলফামারী
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে ডোমার ও ডিমলা উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ৩৫ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১২, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৫ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আটজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সোমবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি জানান, এবার স¤পূর্ণ অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয়েছে।

এতে ডোমার উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আট, ভাইস চেয়ারম্যান পদে আট ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচ এবং ডিমলা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে চার, ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাত ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

জামালপুর
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সূচি অনুযায়ী ৮ মে জেলার সরিষাবাড়ী ও জামালপুর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে এ দুটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১০, ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চার প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। প্রার্থীরা সবাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থক। এবার শুধুমাত্র অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিধান করায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের কোনো ভিড় বা উৎসব আমেজ ছিল না।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ছয়জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তারা হলেনÑ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ, জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান স্বপন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবুল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আছাদুজ্জামান আকন্দ বাবু, রানাগাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আহসানুল ইসলাম ও আবু হামান।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তারা হলেন- বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য নাজমুল হোসাইন ও আওয়ামী লীগ সমর্থক সাইদুর রহমান। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন মনোনয়নপত্র দাখিলকারী প্রার্থী হলেনÑ জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজনীন আক্তার ও সদর উপজেলা যুবমহিলা লীগের সভাপতি মোহসিনা মৌসুমী।

অপরদিকে সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চার জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তারা হলেনÑ জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, পোগলদিঘা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সামস উদ্দিন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য তালেব উদ্দিন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

তারা হলেন- উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন ও ডোয়াইল ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন মনোনয়নপত্র দাখিলকারী প্রার্থী হলেনÑ বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান  শেলী আক্তার ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক  মাহমুদা খাতুন।

পিরোজপুর
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানী উপজেলায় ১০ চেয়াম্যান প্রার্থীসহ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩২ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। সদর উপজেলায় সাংবাদিক শফিউল হক মিঠুসহ দুজন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ১৫ ভাইস চেয়ারম্যান ও সাত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

নাজিরপুর উপজেলায় চার চেয়ারম্যান প্রার্থী, পাঁচ ভাইস চেয়ারম্যান ও তিন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ইন্দুরকানী উপজেলায় চার চেয়ারম্যান প্রার্থী, চার ভাইস চেয়ারম্যান ও দুই মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
 
মাদারীপুর 
মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এরা হলেনÑ আসিবুর রহমান খান (স্বতন্ত্র) এবং সাবেক চেয়ারম্যান পাভেলুর রহমান শফিক খান (স্বতন্ত্র)। ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন পাঁচজন। এরা হলেনÑ এইচ এম মনিরুজ্জামান আক্তার, মোখলেছুর রহমান. বোরহান উদ্দিন, মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া ও জাহিদ হোসেন।

ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন পাঁচজন। এরা হলেনÑ ফারিয়া হাছান রাখি, ডেইজী আফরোজ, মোসা. তাজনাহার, ফারজানা নাজনিন, হেনা খানম। রাজৈর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১১ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। চেয়ারম্যান পদে তিন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) চার, ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে চার প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এরা হলেনÑ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চৌধুরী (স্বতন্ত্র), সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আল-আমীন মোল্লা (স্বতন্ত্র) ও মহসিন মিয়া (স্বতন্ত্র)।

ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) আবদুস ছালাম খন্দকার, সাহাবুদ্দিন মিয়া, মিজানুর রহমান শেখ ও কাইয়ুম মিনা। ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) হলেন- সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিতা কুদ্দুস, নূরজাহান, সুজাতা গোলদার ও তাহমিনা হিরা। শিবচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ছয়জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। চেয়ারম্যান পদে স্বামী ও স্ত্রী দুই, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) দুই, ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে মা ও মেয়ে দুই প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এরা হলেনÑ ফাহিমা আক্তার (স্বতন্ত্র) এবং তার স্বামী সেলিম মিয়া (স্বতন্ত্র)। ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) বিএম আতাউর রহমান আতাহার (স্বতন্ত্র) ও মনিরুজ্জামান মনির (স্বতন্ত্র)। 

বান্দরবান 
প্রথম ধাপে বান্দরবানের বান্দরবান সদর, রোয়াংছড়ি, থানচি ও আলীকদম  চারটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১০ এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২২ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বান্দরবান জেলা নির্বাচন অফিসার এসএম শাহাদাত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নির্বাচন অফিসের তথ্যমতে, বান্দরবান সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান দুই প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

তারা হলেন- জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর। অপরদিকে আলীকদম উপজেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম এবং  আলীকদম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন, রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান চহাইমং মারমা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চহ্লামং মারমা, অংশৈমং মারমা, থানচি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লা অং মারমা এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যহ্লাচিং মারমা।

অপরদিকে সদরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে কৃষক লীগের সভাপতি প্রজ্ঞাসার বড়ুয়া পাপন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ ফাহিম, মামুনুর রশীদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সানজিদা আক্তার, মেহাইনু মারমা, য়ইসা প্রু মারমা, রোয়াংছড়িতে ভাইস চেয়ারম্যান পদে শৈক্যচিং মারমা, প্রু কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা, উবামং মারমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাশৈখিং, রুইচিংপ্রু, থুইনু প্রু, আলীকদমে ভাইস চেয়ারম্যান পদে রিটন, কফিল উদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শিরিনা আক্তার, ইয়াসমিন আক্তার, থানচিতে চসাথোয়াই মারমা, উক্যসা, মালিরাম ত্রিপুরা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বকুলী মারমা, নাজিও মারমা, নুমেপ্রু মারমা।

খুলনা 
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল সংক্রান্ত বিষয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে খুলনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার আয়োজনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বেনজির আহমেদ ফারাজী। সভাপতিত্ব করেন ফুলতলা, দিঘলিয়া ও তেরখাদা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা এ টি এম শামীম মাহমুদ।

অন্যদের সংশ্লিষ্ট উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা এবং ফুলতলা, দিঘলিয়া ও তেরখাদা উপজেলার প্রায় অর্ধশত সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন। সভায় কিভাবে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে সে বিষয়ে ধারণাপত্র ও ভিডিওর মাধ্যমে দেখানো হয়। এ ছাড়া প্রার্থীরা এখন থেকেই কিভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন করবে সে বিষয়েও ধারণা দেওয়া হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তা এ টি এম শামীম মাহমুদ জানান, সকলের অংশগ্রহণে এবং সহযোগিতায় আমরা একটি সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই। এজন্য আগে থেকেই আমরা বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।

রায়পুর
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে দরজায় কড়া নাড়ছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আগামী মে মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রায়পুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে আগাম প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীরা। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সরকার দলের দলীয় প্রতীক না থাকার ঘোষণায় প্রার্থীদের হিড়িক পড়েছে। অপরদিকে সময় বেশি না থাকার কারণে অনেকেই দিন-রাত নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে মোছা. হাছিনা আক্তার নির্বাচনী জনসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ১নং খঃ রাণীনগর ইউপির সাবেক ইউপি সদস্য মোছা. রুমা বেগম জনসংযোগে নানা প্রতিশ্রুতি প্রদান করছেন।

হালুয়াঘাট
প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হালুয়াঘাটে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) ৫ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ মো. নাজিম উদ্দিন, জাহিদ আহম্মেদ সারোয়ার জাহান, আবুল হাসনাত তারেক, মো. কামরুজ্জামান, মো. সাইফুল ইসলাম। ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) শেখ রাসেল, শাখাওয়াত হোসেন ফকির, হুমায়ুন কবির, সাইফুর রহমান, এবিএম কাজল সরকার এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, ঝর্ণা ঘোষ, সুমি, মনোয়ারা খাতুন, হালিমা খাতুন।

শাল্লা
শাল্লা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে  ৪ জন,  ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯জন ও   মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৪ জনসহ মোট ১৭ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। সোমবার শাল্লা উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার শাহ্ মোহাম্মদ এনামুল কবিরের কার্যালয়ে এই মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়।  প্রার্থীরা হলেন- চেয়ারম্যান পদে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গণেন্দ্র চন্দ্র সরকার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট অবনী মোহন দাস, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট দিপু রঞ্জন দাস ও   এসএম শামীম।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে- মোঃ সাইফুর রহমান, আব্দুল মজিদ, অরিন্দম চৌধুরী অপু,  কালীপদ রায়, মো. হাজিরুল ইসলাম, ফেনী ভূষণ সরকার, প্রদীপ দাশ, বিষ্ণুপদ দাশ, শেখ শহিদুল ইসলাম। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে- শর্বরী মজুমদার, মোছাঃ আলপিনা আক্তার, মর্তুজা আক্তার, মোছাঃ ছায়া মনি আক্তার।

বাকেরগঞ্জ
বাকেরগঞ্জে সোমবার সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেন চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জনসহ মোট ১২ প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন হলেন-  উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশা, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক রাজিব তালুকদার, বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়ামত আব্দুল্লাহ পলাশ ও এএম মেজবা উদ্দিন জুয়েল মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সাইফুর রহমান ডাকুয়া, মো. শাহবাজ মিয়া, কামরুল হোসেন, আব্দুস সালাম, আলাল উদ্দিন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন হলেন উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহমিনা বেগম ও জাহানারা বেগম।

×