ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২

আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩:৪৮, ১৬ এপ্রিল ২০২৩

আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস

.

“.... বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং বাংলাদেশের অখন্ডতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান

“..... আরও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি যে, শাসনতন্ত্র প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পদে অধিষ্ঠিত থাকবেনরাষ্ট্রপ্রধান প্রজাতন্ত্রের সশস্ত্র বাহিনীসমূহের সর্বাধিনায়ক পদেও অধিষ্ঠিত থাকবেনরাষ্ট্রপ্রধানই সর্বপ্রকার প্রশাসনিক ও আইন-প্রণয়নের ক্ষমতার অধিকারী।....

আজ সেই ১৭ এপ্রিল, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অনন্য দিন ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস৫২ বছর পূর্তি হলো ঐতিহাসিক এই দিনটিরদিনটি সরকারিভাবে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হবেআজ থেকে ৫২ বছর আগে একাত্তর সালের অগ্নিঝরা এই দিনে হানাদার বাহিনী কর্তৃক আক্রান্ত বাঙালি জাতির আলোকবর্তিকা হিসাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়সরকারের শপথ গ্রহণ আর মুক্তির সনদ উপরোক্ত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠের মাধ্যমে কবর রচিত হয় অখ- পাকিস্তানেররচিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন ইতিহাসনয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানকে পরাজিত করে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নেয় স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ

বাংলা, বাঙালি, মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর যেন অভিন্ন নামস্বাধীনতা অর্জনের পথে ১৭ এপ্রিল এক ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত  দিনবাংলাদেশের স্বাধীন সরকারের শপথ নেওয়ার দিন, স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠের দিনএর আগে একই বছরের ১০ এপ্রিল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়এর ধারাবাহিকতায় ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার মুজিনগরের বৈদ্যনাথতলার আ¤্রকাননে এই সরকার শপথ গ্রহণ করে

বাঙালি জাতি সুদীর্ঘ দুই শতাব্দীরও অধিককাল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ ও পাকিস্তানের শাসনে শৃঙ্খলিত ছিল২৫০ বছর আগে ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আ¤্রকাননে বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার স্বাধীনতার যে সূর্য অস্তমিত হয়েছিল, সেই স্বাধীনতার সূর্য আবারও উদিত হয়েছিল ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল বৈদ্যনাথতলার আ¤্রকাননেবাঙালির দীর্ঘ সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষার পর তকালীন নদীয়ার আরেক অংশ মেহেরপুর মুজিবনগরের  বৈদ্যনাথতলার আ¤্রকাননে রচিত হয়েছিল আরেকটি ইতিহাসএকাত্তরের অগ্নিঝরা এদিনেই বাঙালির হাজার বছরের লালিত স্বপ্নের স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভিত্তিমূল রচিত হয়

মাত্র দেড়শবছরের ব্যবধানে একাত্তরের এই দিনে বাঙালি জাতি নতুন করে আবার জেগে ওঠে, মুছে দেয় পরাজয়ের গ্লানিবাঙালির দীর্ঘ সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষার পর বৈদ্যনাথতলায় রচিত হয়েছিল আরেকটি ইতিহাসএকাত্তরের অগ্নিঝরা এ দিনেই বাঙালির হাজার বছরের লালিত স্বপ্নের স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক ভিত্তিমূল রচিত হয়১৯৭১ সালের এই দিনে হানাদার বাহিনী কর্তৃক আক্রান্ত বাঙালি জাতির আলোকবর্তিকা হিসাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়রচিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন ইতিহাস

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক করে এদিন গঠিত হয় সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকারবিশ্ব মানচিত্রে স্থান পায় স্বাধীনতা বাংলাদেশের নামপরবর্তীতে ঐতিহাসিক এ দিবসটি মুজিবনগর দিবস হিসাবে স্বীকৃতি পায়এ কারণে মুজিবনগর ও ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের ইতিহাসে শুধু নয়, বিশ্ব মানুষের মুক্তির ইতিহাসে আলাদা বিশেষত্ব রাখেকারণ এখানে ঘোষিত হয়েছিল একটি জাতির মুক্তির জন্য স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র

স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে আরও বলা হয়, “....জনগণের ম্যান্ডেট মোতাবেক আমরা নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আমাদের ক্ষমতায় গণ-পরিষদ গঠন করে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা আমাদের পবিত্র কর্তব্য সেইহেতু আমরা বাংলাদেশকে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি এবং এ দ্বারা পূর্বাহ্নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা অনুমোদন করিতেছি

বছর ঘুরে বাঙালির জীবনে ফের এসেছে ১৭ এপ্রিল, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসবঙ্গবন্ধুকে প্রথম রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে ১৭ এপ্রিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আনুষ্ঠানিক এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি শুধুমাত্র সারাবিশ্বেই ঐতিহাসিকভাবে সত্য নয়, পবিত্র সংবিধান এবং সর্বোচ্চ আদালতের রায়েও বিষয়টিকে স্বীকৃত দেওয়া হয়েছেমুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা ও বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ঘটনা সারাবিশ্বেই ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে, বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ততদিন কেউ তা মুছে ফেলতে পারবে না

কী ঘটেছিল সেদিন আ¤্রকাননে একাত্তরের অগ্নিঝরা দিনগুলোতে মুক্তিকামী বাঙালির সশস্ত্র যুদ্ধ চলছে সর্বত্রযার ধারাবাহিকতায় আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিলসেদিন ছিল শনিবারসীমান্তবর্তী মুজিবনগরের বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আমবাগানের চারদিকে রাইফেল হাতে কড়া প্রহরায় বীর মুক্তিযোদ্ধারাহাজার হাজার মুক্তিকামী বাঙালির উপচেপড়া ভিড় চারদিকেঐতিহাসিক স্বাধীনতার মুুহূর্তটি ধারণ করতে দেশী-বিদেশী সাংবাদিকরাও প্রস্তুতমুক্ত আকাশের নিচে চৌকি পেতে তৈরি করা হয়েছে শপথ মঞ্চমঞ্চের ওপর সাজানো ৬ খানা চেয়ারঅনুষ্ঠানের প্রবেশপথে বাংলায় লেখা স্বাগতম

স্থানীয় সময় ১১টা বেজে ৫০ মিনিটে আসে সেই মাহেদ্রক্ষণনতুন স্বাধীন রাষ্ট্রের নেতারা একে একে আসতে থাকেনজয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধুস্লোগানে প্রকম্পিত চারদিকপ্রথম শপথ মঞ্চে উঠে এলেন বঙ্গবন্ধুর আজীবনের ঘনিষ্ঠ সহচর সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তার পেছনে তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামান, বিশ্বাসঘাতক খুনি খন্দকার মোশতাক আহমেদ ও জেনারেল এম এ জি ওসমানী

যে কোনো মুহূর্তে পাক হানাদার বাহিনীর বিমান হামলার আশঙ্কার মুখে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক এ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের স্থায়িত্ব হয় মাত্র ৪৫ মিনিটঅনুষ্ঠানের সূচনায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত এবং গীতা, বাইবেল থেকে পাঠ করা হয়স্থানীয় শিল্পী এবং হাজারো মানুষের কণ্ঠে গাওয়া হয় বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসিএরপর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম উত্তোলন করেন মানচিত্র খচিত স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা

এরপর আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের চিফ হুইপ অধ্যাপক ইউসুফ আলী ঐতিহাসিক দলিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেনএরপর নতুন সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিবর্গ ও সেনাবাহিনীর প্রধানকে শপথবাক্য পাঠ করান তিনিঅনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আবদুল মান্নান এমএনএসদ্য প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম ওই সময় মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেনশপথ গ্রহণের পর সশস্ত্র তেজোদীপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা এবং আনসার বাহিনীর সদস্যরা মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবর্গকে রাষ্ট্রীয় কায়দায় গার্ড অব অনারপ্রদান করেনপাক শাসকগোষ্ঠীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের

বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি থাকায় তাকে রাষ্ট্রপতি করেই ঘোষণা করা হয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারবঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে সেদিন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসাবে শপথ নেন সৈয়দ নজরুল ইসলামসরকারের মন্ত্রিসভায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদকে সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে অর্থমন্ত্রী, এএইচএম কামরুজ্জামানকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়পরে বাঙালি জাতির কাছে মীরজাফর ও বিশ্বাসঘাতক হিসাবে বিবেচিত খন্দকার মোশতাক আহমেদকে আইন, বিচার ও পররাষ্ট্র দপ্তরের মন্ত্রী করা হয়

এছাড়া জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী অস্থায়ী সরকারের মুক্তিবাহিনীর প্রধান কমান্ডার এবং মেজর জেনারেল আবদুর রব চীফ অব স্টাফ নিযুক্ত হনমুজিবনগর সরকারকে ১৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ভাগ করা হয়এছাড়া কয়েকটি বিভাগ মন্ত্রিপরিষদের কর্তৃত্বাধীনে থাকেপ্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যুদ্ধরত অঞ্চলকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করে একজন করে সেক্টর কমান্ডার নিয়োগ করা হয়এছাড়া কে ফোর্স, জেড ফোর্স ও এস ফোর্স নামে তিনটি ব্রিগেড গঠন করা হয়

শপথ গ্রহণের পর পরই প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ জাতির উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা যা করছি সবই মুজিবের নির্দেশেতবে তিনি কোথায় আছেন বলব নাএ অনুষ্ঠান থেকে নতুন সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দুজনই বিশ্ববাসীর কাছে নতুন রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি দান ও সামরিক সাহায্যের আবেদন জানান

একাত্তরের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার ধারাবাহিকতায় গঠিত স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের এ প্রকাশ্য শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল বাঙালির স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের একটি ঐতিহাসিক টার্নিং পয়েন্টকেননা পাকিস্তানের জল্লাদ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান বিশ্ববাসীকে দেখাতে চেয়েছিল বাঙালির স্বাধীনতা যুদ্ধ হচ্ছে ভারতের মাটিতে বসেইয়াহিয়ার এ প্রচারণা মিথ্যা প্রমাণ করার জন্যই স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের মাটিতে বসেই১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রীরা শপথ নিলেও ১৮ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদের প্রথম সভায় মন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টন করা হয়

নতুন সরকারের শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের নাম স্থান পায়এই মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে ও দক্ষ পরিচালনায় মুক্তিপাগল বাঙালি জাতি নয় মাস মরণপণ সশস্ত্র যুদ্ধ করে ছিনিয়ে আনেন মহামূল্যবান বাংলাদেশের স্বাধীনতাত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত আর হাজার হাজার মা-বোনের ইজ্জত, অশ্রু এবং কোটি বীর বাঙালির আত্মত্যাগে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ স্থান দখল করে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে

ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত এই দিনটিকে বরাবরের ন্যায় স্বাধীনতার চেতনায় বিশ^াসী সকলের সঙ্গে একত্রিত হয়ে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনসমূহ যথাযথ মর্যাদা এবং গুরুত্বের সঙ্গে স্মরণ ও পালন করবেঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন

আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্য রয়েছে, আজ ভোর ছয়টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারাদেশে সংগঠনের সকল কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনসকাল সাতটায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন

এদিকে, মুজিবনগরের কর্মসূচির মধ্য রয়েছে, ভোর ছয়টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনসকাল ১০টায় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনসকাল সোয়া দশটায় গার্ড অব অনারসকাল ১১টায় শেখ হাসিনা মঞ্চ মুজিবনগর দিবসের জনসভা অনুষ্ঠিত হবেজনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহবিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক এমপিজনসভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিমসঞ্চালনা করবেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক

দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ঘোষিত কর্মসূচি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য সংগঠনের সকল স্তরের নেতা-কর্মী এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসমূহসহ সর্বস্তরের জনগণ ও  দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন

×