ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তুমি রবে নীরবে...

ওবায়দুল কবির

প্রকাশিত: ২৩:২৬, ২১ মার্চ ২০২৩

তুমি রবে নীরবে...

আতিকউল্লাহ খান মাসুদ

অফিসের গাড়ি বারান্দায় হিমশীতল গাড়িতে তাঁর মরদেহ রাখার দৃশ্যটা গত দুই বছরেও মন থেকে মুছতে পারিনি। যখনই দৃশ্যটা ভোসে ওঠে চোখের সামনে, বুকটা হাহাকার করে ওঠে। সদা চঞ্চল মাথা উঁচু করে বাঁচা মানুষটা শুয়ে আছেন শান্ত হয়ে সফেদ কাফনে। স্বভাবের বিরুদ্ধে গিয়ে নিথর পাথর হয়ে গেছেন যেন। ইহলোকের সকল ঝড়-ঝঞ্ঝার ঊর্ধ্বে উঠে ঘুমিয়ে আছেন নিশ্চিন্তে। নির্বিঘ্ন, নির্লিপ্ত। ২৮ বছরের চিরচেনা দৃশ্যের ব্যতিক্রম। তাঁর আঙ্গিনায় আজ অনেক মানুষ। আঙুল উঁচিয়ে কাউকে নির্দেশ দিচ্ছেন না- ‘এই, এটা করো, ওটা করো, এটা এভাবে করেছ কেন?’ কারও কাজ পছন্দ না হলে নিজেই হাত লাগাচ্ছেন না। মাইকে বাজছে পবিত্র কুরআন তেলওয়াত। সহকর্মীদের চোখে অঝোর অশ্রুধারা। কোনো দিকেই ভ্রƒক্ষেপ নেই তাঁর, শুয়ে আছেন চুপচাপ নিথর হয়ে।

সেদিন ছিল সোমবার, ২২ মার্চ। ভোরে একটি ফোনের সংবাদে সমাপ্ত হয়ে গেল দীর্ঘ ২৮ বছর একসঙ্গে সুখ-দুঃখের পথচলা। ভোররাতে বুকে ব্যথা অনুভব করলেন তিনি। গাড়িতে করে দ্রুত হাসপতালে নিয়ে যাওয়া হলো। ততক্ষণে সব শেষ। প্রিয়তমা সহধর্মিণী শামীমা এ খানের ঘাড়ে মাথা রেখে পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে। ক্যান্টনমেন্টের বাসায় শেষ গোসল এবং কাফনের কাপড় পরিয়ে প্রথম জানাজা পড়ানো হলো বাড়ির পাশের মসজিদে। কিছু সময়ের জন্য আনা হলো জনকণ্ঠ ভবনে। পরে মরদেহ রাখা হলো হিমঘরে। বড় ছেলে মিশাল এ খান ছিলেন বিদেশে। তাঁর জন্য অপেক্ষা। দাফন হলো বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ।

বারডেমের হিমঘর থেকে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হলো গ্রামের বাড়ি বিক্রমপুরের মেদেনিমণ্ডলে। দ্বিতীয় জানাজা শেষে আনা হয় তাঁর প্রিয় জনকণ্ঠ ভবনে। তখন দুপুর ১টা। জাতীয় পতাকায় ঢেকে দেওয়া হলো তাঁর কাফন। অনুষ্ঠিত হলো তাঁর তৃতীয় জানাজা। শেষবারের মতো প্রিয় মুখটি দেখার জন্য অপেক্ষা করছিলাম সবাই। হিমগাড়ির কাঁচ সরিয়ে কাফনের কাপড় সরানো হলো। সেই পরিচিত মুখ, শুধু একটু ফ্যাকাসে। চিরঘুমে যেন নিঃসাড়। প্রায় আড়াই যুগের সম্পর্কের অবসান ঘটল।

প্রতিষ্ঠানের অনেক উত্থান-পতনেও ছেড়ে যাওয়া হয়নি এক অদৃশ্য বন্ধনে। তিনিই চলে গেলেন সকল বন্ধন ছিন্ন করে। ২৮ বছরের সহযোদ্ধা তোয়াব খান হুইল চেয়ারে বসে শোক বইতে লিখলেন, ‘জন্ম-মৃত্যুর সঙ্গী’। মাত্র দেড় বছরের মাথায় তোয়াব খানও পাড়ি জমালেন পরপারে, আতিকউল্লাহ খান মাসুদের সঙ্গী হতে।       
জানাজা হলো। দেশমাতৃকাকে মুক্ত করার অগ্রসেনানী বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ‘গার্ড অব অনার’ জানিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদান করা হলো। জাতীয় পতাকা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হলো তাঁর কফিন। ধীরে ধীরে কফিন বহনকারী গাড়িটি চলতে শুরু করল। চারদিকে কান্নার রোল। কারও কান্না অশ্রু হয়ে ঝরছে নিরবে, কেউ কাঁদছেন শব্দ করে। গাড়িটি চলে গেল তাঁর প্রিয় ‘জনকণ্ঠ ভবন’ ছেড়ে, বনানী কবরস্থানের দিকে। সবাইকে ছেড়ে তিনি চলে গেলেন দূরে-বহু দূরে। আর কোনোদিন তিনি ফিরবেন না প্রিয় কর্মস্থলে। তাঁর সরব উপস্থিতিতে কর্মচঞ্চল হয়ে উঠবে না ইস্কাটনের এই চৌদ্দ তলা ভবনটি।

বলছিলাম জকণ্ঠের সাবেক সম্পাদক এবং গ্লোব জনকণ্ঠ শিল্প পরিবারের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদের কথা। দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেল দুটি বছর। ২০২১ সালের এই দিনে এক অনাকাক্সিক্ষত ঝড়ে ‘সাবেক’ হয়ে গেলেন তিনি। 
মুন্সীগঞ্জের কীর্তিমান সন্তান, সফল ব্যবসায়ী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ পত্রিকা বের করেছিলেন কেন? তাঁর চলে যাওয়ার পর এই প্রশ্ন উঠতেই পারে। পান রপ্তানি, ঘড়ির পার্টস আমদানি ইত্যাদি নানা ব্যবসায় সাফল্যের পর তিনি প্রথম স্থাপন করেছিলেন গ্লোব মশার কয়েল। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই কয়েলের ব্র্যান্ড হয়ে ওঠে ‘গ্লোব’। দোকানে গিয়ে মানুষ মশার কয়েল না চেয়ে বলতেন, ‘আমাকে এক প্যাকেট গ্লোব দেন।’ এই দেশে তিনিই প্রথম উৎপাদন করেন মিহি দানার সাদা লবণ। আজকের দিনে মোটা লবণ শুধুই অতীত।

তিনি প্রথম ভাবতে পেরেছিলেন উন্নত বাংলাদেশের পথে রাষ্ট্রের এই অগ্রযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ মেটাল কিংবা ক্যাবল। এখন থেকে অন্তত বিশ বছর আগে তিনি এই পথে হাঁটতে শুরু করেছিলেন। স্থাপন করেছিলেন ‘গ্লোব মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ’ এবং ‘গ্লোব ক্যাবল ইন্ডাস্ট্রিজ’। স্বল্প মূলে মধ্যবিত্তদের সাধ্যের মধ্যে মাথা গোঁজার ঠাই করে দেওয়ার চিন্তাও তিনিই প্রথম করেছিলেন। হাতে নিয়েছিলেন ‘গ্লোব আবাসন’ প্রকল্প। চা এবং মসলা উৎপাদন শিল্পেও তিনি বিনিয়োগ করেছিলেন।

গ্লোব খামারে নানা জাতের ফল, হাঁস-মুরগি ও গরুর খামার প্রতিষ্ঠা করে জাতির জন্য পুষ্টি সরবরাহের মহান ব্রতী তিনিই হয়েছিলেন। রাজনৈতিক পীড়নে সৃষ্ট প্রতিকূলতায় তাঁর সাফল্য ম্লান হলেও আজকের বাংলাদেশে এসব খাতে তিনিই ছিলেন পথ প্রদর্শক। এত কিছুর মধ্যে তিনি পত্রিকার কথা চিন্তা করলেন কেন?
বিষয়টি নিয়ে তাঁর সঙ্গেও কথা হয়েছে অনেকবার। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তিনি সব সময় সামাজিক দায়িত্ববোধ মাথায় রেখেছিলেন। পত্রিকার চিন্তাও তিনি করেছিলেন আরও বড় পরিসরে সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে। ‘৯১ সালে জাতীয় নির্বাচনে অপ্রত্যাশিতভাবে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় বসেছিল বিএনপি। এ জন্য তাদেরকে সমর্থন নিতে হয়েছে মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি বিরোধিতাকারী জামায়াতে ইসলামীর। বিনিময়ে জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্ব বর্তায় তাদের ওপর।

এরই ধারাবাহিকতায় গোলাম আযমের নাগরিকত্ব, বিএনপি-জামায়াত রাজনৈতিক জোট এবং দুই যুদ্ধাপরাধীর গাড়িতে পতাকা তুলে দেওয়ার মতো ঘটনা এই দেশে ঘটেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিকউল্লাহ খান মাসুদ সমাজ ও রাষ্ট্রকে এই দুষ্ট চক্রের হাত থেকে রক্ষার জন্য পত্রিকার মতো একটি হাতিয়ার হাতে তুলে নিয়েছিলেন। এ জন্য যেন-তেন পত্রিকা হলে হবে না, হতে হবে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এক নম্বর পত্রিকা।

দেশের মানুষ যখন বিষয়টি চিন্তাও করতে পারেনি, তা-ই তিনি করে দেখালেন। তথ্য-প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে তিনি দেশের পাঁচ জায়গা থেকে প্রকাশ করলেন প্রথম আধুনিক চার রঙ্গের সংবাদপত্র। সঙ্গে পেলেন আরেক মুক্তিযোদ্ধা, শব্দ সৈনিক এবং জীবন্ত কিংবদন্তি তোয়াব খানকে। দুই খান মিলে একটি পূর্ণাঙ্গ জাতীয় দৈনিক তুলে দেন পাঠকের হাতে। 
১৯৯৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি দৈনিক জনকণ্ঠ প্রকাশের কয়েক মাসের মধ্যেই পত্রিকাটি ব্যপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। পত্রিকার নীতি এবং নতুনত্ব দৃষ্টি আকর্ষণ করে পাঠকদের। পত্রিকা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু  হয় সকল মহলে। জনকণ্ঠ অবন্থান নেয় সাম্প্রদায়িকতা ও দুর্নীতির বিপক্ষে। সেই সময় সমসাময়িক নানা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে পত্রিকার প্রয়াত সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ‘পর্যবেক্ষক’ ও ‘ভাষ্যকার’ নামে নিবন্ধ প্রকাশ করতেন।

এসব লেখায় রাষ্ট্রের নানা সমস্যা-সংকট তুলে ধরা হতো এবং দেখানো হতো সমাধানের পথ। পত্রিকা প্রকাশের মাত্র দুই বছর আগে দেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলেও তখন দুর্নীতির রাহুগ্রাস সমাজকে আচ্ছন্ন করে ফেলেছিল। জনকণ্ঠ সম্পাদক কলম ধরেছিলেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে। ‘দুর্নীতিবাজ কয়েকজনকে অন্তত ফাঁসি দিন’- শিরোণামে তিনি তুলে ধরেন দেশের অবস্থা। দুর্নীতি বন্ধে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন তিনি তাঁর নিবন্ধে। শেখ হাসিনা সরকার গত ১৪ বছরে দেশকে অনেক দুর এগিয়ে নিয়ে গেছেন। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন আজ বিশ^বাসীর কাছে বিস্ময়।

ইতোমধ্যে তিনি দেশকে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছেন। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তিনি উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত করার জন্য প্রাণান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই বিরামহীন যাত্রায় জনকণ্ঠ পাশে থেকেছে সব সময়। সম্পাদক হিসাব আতিকউল্লাহ খান মাসুদও চাইতেন প্রধানমন্ত্রীর পরিশ্রম সার্থক হোক। পত্রিকায় পাতায় সামাজিক অবক্ষয়, দুর্নীতি এবং বর্ণচোরাদের মুখোশ উম্মোচন করে তিনি সহায়তা করতেন প্রধানমন্ত্রীর কাজে। একথা সত্য যে, প্রধানমন্ত্রীর এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অন্যতম অন্তরায় দুর্নীতি।

সমাজকে দুর্নীতিমুক্ত করতে পারলে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই তিনি লক্ষ্যে পৌঁছতে পারতেন। আজ ২২ মার্চ জনকণ্ঠের প্রয়াত সম্পাদকের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের প্রত্যাশা- আতিকুল্লাহ খান মাসুদের স্বপ্ন দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন অভিযাত্রা যেন ত্বরান্বিত হয়।   
দীর্ঘ ২৮ বছর খুব কাছ থেকে তাঁকে দেখার সুযোগ হয়েছে। বিশ^বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোনোর আগেই যোগদান করেছিলাম দৈনিক জনকণ্ঠে। জীবনের প্রায় সবটাই কেটেছে এই প্রতিষ্ঠানে। শিক্ষানবিস রিপোর্টার থেকে নির্বাহী সম্পাদক। পাড়ি দিতে হয়েছে দীর্ঘ পথ-পরিক্রমা। পুরো সময়টাই কেটেছে পিতৃতুল্য অভিবাবক আতিকউল্লাহ খান মাসুদের সঙ্গে। তিনি ছিলেন গতানুগতিক ব্যবসায়ীদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। ব্যক্তি জীবনে তিনি ছিলেন একজন সৎ, কর্মঠ এবং মানবিক মানুষ।

বিশাল কর্মময় সংগ্রামী জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁকে কখনো অনৈতিক হতে দেখিনি। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান এবং এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভালোবাসতেন অন্তর থেকে। তাদের বিপদে-আপদে পাশে থেকেছেন অভিবাবকের মতো। এমন মানবিক গুণ তাঁকে মহিমান্বিত করেছে। শুধু সহকর্মী নয়, সমাজের প্রতিও তিনি ছিলেন দায়িত্বশীল। শিক্ষা ও জ্ঞানচর্চায় সহযোগিতা, বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং শিশুদের প্রতি গভীর মমত্ববোধ ছিল তার চারিত্রিক সৌন্দর্য। গভীর দেশপ্রেম ছিল তাঁর দৈনিক জনকণ্ঠ প্রতিষ্ঠার মূলমন্ত্র।

সারা জীবন মাথা উঁচু করে চলেছেন। ন্যায় ও নৈতকতা বিসর্জন দিলে তিনি হয়তো আরও প্রতিষ্ঠা পেতে পারতেন। সেই পথে হাঁটার চিন্তাও তিনি কোনোদিন করেননি। অন্যায়ের সঙ্গে আপোস করেননি কখনো। অনৈতিকভাবে কিছু প্রাপ্তির লোভ সংবরণ করেছেন আমৃত্যু। একটু আপোস করলে হয়তো তাঁকে ওয়ান ইলেভেন সরকারের নির্মমতার শিকার হতে হতো না। অর্থনৈতিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছেন, জেল খেটেছেন, কিন্তু আপোস করেননি। নীতির প্রশ্নে এই আপোসহীনতাই তাকে বাঁচিয়ে রাখবে চিরদিন।
জীবন থেমে থাকে না। আতিকউল্লাহ খান মাসুদের প্রিয় দৈনিক জনকণ্ঠ, গ্লোব জনকণ্ঠ শিল্প পরিবারও চলছে বহমান সময়ের পথ ধরে। প্রতিষ্ঠানের হাল ধরেছেন তাঁর সহধর্মিণী শামীমা এ খান। তিনিও ধরে রেখেছেন পূর্বসূরির নীতি-নৈতিকতা। নতুন কান্ডারির হাতে প্রতিষ্ঠানগুলোর গতি আরও বেগবান হবে, সুনামের সঙ্গে বাঁচিয়ে রাখবে পূর্বসূরির স্মৃতি- এই প্রত্যাশা সবার। দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে পরম করুণাময় মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা, তিনি যেন পরপারে আতিকউল্লাহ খান মাসুদকে হেফাজত করেন।         
লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, জনকণ্ঠ

×