ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

পুরো পরিবার রোহিঙ্গা হলেও ২ বোন বর্তমানে বাংলাদেশি!

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ।।

প্রকাশিত: ১৬:৫৭, ১৩ মে ২০২৫; আপডেট: ১৬:৫৭, ১৩ মে ২০২৫

পুরো পরিবার রোহিঙ্গা হলেও ২ বোন বর্তমানে বাংলাদেশি!

রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের নতুন তিতার পাড়া এলাকায়  এক পরিবারে ১২ জন সদস্য রোহিঙ্গা। তবে এদের মধ্যে দুই রোহিঙ্গা নারী বাংলাদেশি বনে গেছেন। এলাকার প্রতিনিধিকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে তথ্য জালিয়াতি করে বর্তমানে ২জন বাংলাদেশি হয়ে নাগরিকত্ব দাবি করছে। ভোটার তালিকায় বর্তমানে যারা আছে, যেমন বেগম বাহার। জাতীয় পরিচয়পত্র নং-১৯৩৪৪৭৩১৮০, জন্ম তাং ১/১১/১৯৮০
পিতা লোকমান হাকিম, মাতা,বানু বেগম, স্বামী  মো. সলিম উল্লাহ 
ভোটার এলাকা নতুন তিতার পাড়া, ইউনিয়ন কচ্ছপিয়া।

অন্যজন নুর নাহার বেগম। যার পরিচয়পত্র নং-৮২১৩৫৩৯৬৮০ জন্ম তাং ১/১/১৯৯০, পিতা লোকমান হাকিম, মাতা বানু বেগম
ভোটার এলাকা নতুন তিতার পাড়া,  ইউনিয়ন কচ্ছপিয়া  রাম, কক্সবাজার

তাদের পরিবারে  বর্তমানে যারা আছে বেগম বাহার স্বামী সলিম উল্লাহ মিয়ানমার থাকাকালীন মিয়ানমার থেকে কৌশলে সৌদি আরবে চলে যায়। পরে তার বড় ছেলে এরশাদ উল্লাহকে নিয়ে যায় সৌদি আরবে। গত কয়েকমাস আগে তথ্য জালিয়াতি করে ভোটার তালিকায়  আসা বেগম বাহারের স্বামী সলিম উল্লাহকে সৌদি পুলিশ গ্রেফতার  করে সৌদি কারাগারে পাঠায়।

পরে সে রোহিঙ্গা পরিচয় দিলে তাকে বাংলাদেশের কুতুপালং রোহিঙ্গা  ক্যাম্পের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেয়।পরে রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া নতুন তিতার পাড়া এলাকায় বেগম বাহারের ঠিকানা খুঁজে বের করে তার পরিবারের কাছে কচ্ছপিয়া নতুন তিতার পাড়ায় চলে যায়। বেগম বাহার মিয়ানমার থেকে আসার পর নতুন তিতার পাড়া এলাকায় একটি সরকারি ফরেস্ট জায়গা দখল ও সেখানে বাড়িঘর করে বসবাস করে আসছে। পরিবারে আছে, সলিম উল্লাহ, ছালামত উল্লাহ, এরশাদ উল্লাহ, শহীদ উল্লাহ, আছমিরা বেগম, রমিদা বেগম, শফিকা বেগম, রশিদা বেগম, হামিদ উল্লাহ ও আমান উল্লাহ সবাই রোহিঙ্গা। তন্মধ্যে বেগম বাহার ও রশিদা বেগম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

ভোটার তালিকায় থাকা বেগম বাহার ও নুর নাহার বেগমের ছত্রছায়ায় বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকা তার স্বজনরা তাদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে  ইয়াবা, অপহরণ, ডাকাতি ও খুন খারাপিসহ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বেগম বাহার অবৈধ ব্যবসার আয়ে বর্তমানে এলাকায় খতিয়ানভুক্ত মালিকানাধীন জমি ক্রয় করে পাকা বাড়ি ঘর করছে। প্রস্তুতি  নিচ্ছে এমন অভিযোগও রয়েছে। 

এলাকাবাসী আরও জানিয়েছেন তাদের পরিচয়ে ক্যাম্প থেকে আসা তাদের আত্মীয় স্বজনকে বাংলাদেশি ভোটার তালিকায় আনার চেষ্টা  চালিয়ে যাচ্ছে।

বর্তমানে ইউপি সদস্য  ছালেহা বেগমের ছত্রছায়ায় ভোটার তালিকায় নাম উঠে আসছে বলে জানা গেছে।

সজিব

×