ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১

ভূয়া ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা সেজে চাঁদাবাজির সময় আটক ৮

প্রকাশিত: ২০:০৬, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ভূয়া ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা সেজে চাঁদাবাজির সময় আটক ৮

ভূয়া ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা

নিজেদের ভোক্তা অধিকার অধিদফতরের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়  চাঁদাবাজি করত। কোনো দোকান বা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তারা নিজেদের অধিদফতরের কর্মকর্তা দাবি করত। এরপর সেই দোকানের পণ্য খারাপ, খাবারে মান ভালো না এসব বলে দোকান মালিককে দুর্বল করত। এই পদ্ধতিতে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে শুক্রবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর দক্ষিণ পীরেরবাগ এলাকায় তাদের হাতেনাতে আটক করেছে চক্রটির আট জনকে।

শনিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন।
 
আটকরা হলেন- মো. শাহিন ওরফে বল্লা শাহীন (২৫), মো. ইউসুফ চৌধূরী (২৮), মো. আব্দুল আলিম (২৩), মো. মামুন কাজী (৩২), মো. দেলোয়ার হোসেন (২৬), সুলতান মাহিদ পিয়াস (৩৩), মো. তুষার (৩১) এবং মো. রাহাদ (২৮)।

জনাা গেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আটকরা দক্ষিণ পীরেরবাগ আল বারাকা বেকারি নামের প্রতিষ্ঠানে যান। সেখানে গিয়ে তারা নিজেদের ভোক্তা অধিকার অধিদফতরের কর্মকর্তা পরিচয় দেন ও ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু এ পরিমাণ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান বেকারির মালিক। পরে তারা মালিকের সমস্যা হবে বলে ভয়ভীতি দেখায়। এক পর্যায়ে বেকারির কর্মচারীরা ১৩ হাজার ৫০০ টাকা দিতে চান। কিন্তু তারা তা নিতে অস্বীকৃতি জানায় ও গালিগালাজ শুরু করে। এতে দোকানির সন্দেহ হয়। এসময় কেউ একজন বিষয়টি ফোন করে পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ গিয়ে হাতেনাতে চক্রটির আট জনকে আটক করে। 

ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, বল্লা শাহীন ও তার পুরো দলকে আটক করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকেই পেশাদার অপরাধী। প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। কিন্তু তারা কখনো নিজেদের পুলিশ বলে দাবি করত। আবার কখনো নিজেদের ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তা বলে পরিচয় দিত। এভাবে তারা চাঁদাবাজি করত। বল্লা শাহীন ২০১৯ সালে মিরপুরের আলোচিত সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি।
 

 

এমএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×