ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জাতিসংঘের ই-সরকার উন্নয়ন সূচকে ৮ ধাপ এগোলো বাংলাদেশ

জনকণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩:১৪, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২

জাতিসংঘের ই-সরকার উন্নয়ন সূচকে ৮ ধাপ এগোলো বাংলাদেশ

জাতিসংঘের ই-গবর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্স ২০২২ অনুযায়ী

জাতিসংঘের ই-গবর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্স ২০২২ অনুযায়ী, এ বছর বাংলাদেশ ১৯৩টি দেশের মধ্যে ৮ ধাপ এগিয়ে ১১১তম স্থান অর্জন করেছে। ২০২০ সালের প্রতিবেদনে এটি ছিল ১১৯তম। অন্যদিকে, ই-পার্টিসিপেশন সূচকে বাংলাদেশ এগিয়েছে ২০ ধাপ। সারাবিশ্বে কোভিড-১৯ মহামারীতে দুই বছরের বৈশ্বিক সঙ্কট সত্ত্বেও বাংলাদেশের এই উন্নতি ‘উল্লেখযোগ্য’ বলে দাবি করছে সরকারের এটুআই বিভাগ। খবর বিডিনিউজের।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে প্রকাশিত দ্বাদশ এই জরিপে ই-গবর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্স বা ইজিডিআই-এ বাংলাদেশ ০.৫৬৩০ স্কোর নিয়ে ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১১১তম স্থান এবং ০.৫২২৭ স্কোর নিয়ে ই-পার্টিসিপেশন বা ইপিআইতে ৭৫তম স্থান অর্জন করেছে। ইপিআইতে বাংলাদেশ এক বছর আগে ০.৫৭১৪ স্কোর নিয়ে ৯৫তম স্থানে ছিল।
অনলাইনে সেবা প্রদান, আইন ও পলিসি কাঠামো, ই-পার্টিসিপেশনের অবস্থার পাশাপাশি টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো এবং হিউম্যান ক্যাপিটালকে মূল্যায়নের ভিত্তিতে এই জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। সকল সদস্য রাষ্ট্রের ই-সরকার উন্নয়ন মূল্যায়নে বিভিন্ন প্রকাশনা এবং অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন সেবার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে এই জরিপ।
এই জরিপে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সূচকগুলো হলো ই-সেবা, টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো এবং বিশ্বব্যাপী হিউম্যান ক্যাপিটাল। এ বছর স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ইজিডিআই মান নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে।
বাংলাদেশে ই-পার্টিসিপেশন টুলের মাধ্যমে সারাদেশ, পৌরসভা ও গ্রামীণ স্থানীয় সরকার পর্যায়ে যোগাযোগ ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে উন্নয়নের বিষয় উঠে এসেছে প্রতিবেদনে।
‘বাংলাদেশ শাখাবিহীন ব্যাংকিংয়ের প্রসারের মাধ্যমে ডিজিটাল আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে অসাধারণ উন্নতি দেখিয়েছে। যা এজেন্ট ব্যাংকিং এবং মোবাইল আর্থিক পরিষেবা (এমএফএস) এর মাধ্যমে সারাদেশের ১০ কোটির বেশি গ্রামীণ নাগরিকের দোরগোড়ায় সকল সেবা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে।’
জাতিসংঘের এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ শীর্ষ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) মধ্যে সর্বোচ্চ ইজিডিআই মান অর্জন করেছে এবং পরপর দুটি জরিপে বাংলাদেশ উচ্চ ইজিডিআই গ্রুপে রয়েছে। বাংলাদেশে সরকারী সেবা প্রদানে দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়াতে বিভিন্ন ই-গবর্নমেন্ট উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে।
সরকারের এটুআই, ইউএনডিপি, গেটস ফাউন্ডেশন এবং কনসালটেটিভ গ্রুপের সহযোগিতায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সমন্বয়ে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচীর আওতায় সকল ভাতার ডিজিটাল পরিশোধের জন্য একটি নাগরিকবান্ধব কাঠামো তৈরি করেছে বাংলাদেশ। এর ফলে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, নিঃস্ব মহিলাদের জন্য ভাতা, আর্থিকভাবে অসচ্ছল প্রতিবন্ধীদের জন্য ভাতাসহ সকল ভাতা প্রদান ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে সম্পন্ন করা হচ্ছে।
২০০৯ সালে জাতীয় ডিজিটাল বাংলাদেশ কৌশল গ্রহণ করা হয়। যার লক্ষ্য ছিল সুশাসন, আইন প্রয়োগ, কর্মসংস্থান এবং প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক ডিজিটাল দেশ হিসেবে উন্নত দেশে রূপান্তর করা।

×