ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

পাতাল রেল: জাপানের সঙ্গে ১১৪০০ কোটি টাকার ঋণচুক্তি

প্রকাশিত: ২০:০৫, ২৮ জুন ২০২২; আপডেট: ০৩:২৩, ২৯ জুন ২০২২

পাতাল রেল: জাপানের সঙ্গে ১১৪০০ কোটি টাকার ঋণচুক্তি

অনলাইন রিপোর্টার ॥ রাজধানীবাসীকে যানজট থেকে বাঁচাতে দ্রুত এগিয়ে চলছে দেশের প্রথম মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ। মেট্রোরেল লাইন-৫ প্রকল্পের আওতায় ১৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার পাতাল মেট্রোরেল এবং ৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটার উড়াল মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে এবার জাপানের সঙ্গে ১১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার ঋণচুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (২৮ জুন) বাংলাদেশ সরকার ও জাপানের মধ্যে চলমান মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পে বিনিময় নোট ঋণচুক্তি সই হয়। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত আইটিও নাওকির মধ্যে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউহো হায়াকাওয়া নিজ দেশের পক্ষে এ ঋণচুক্তিতে সই করেন। নতুন এই মেট্রোরেলের অ্যালাইনমেন্ট হলো: হেমায়েতপুর-বলিয়ারপুর-মধুমতি-আমিনবাজার-গাবতলী-দারুসসালাম-মিরপুর ১-মিরপুর ১০-মিরপুর ১৪-কচুক্ষেত-বনানী-গুলশান ২-নতুনবাজার থেকে ভাটারা পর্যন্ত। প্রকল্পটিতে মোট ব্যয়ের মধ্যে জাইকা দেবে ৩০ হাজার ৭৫৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২৮ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদে প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন হবে। হেমায়েতপুর থেকে গাবতলী হয়ে ভাটারা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ লাইনটির ১৪ কিলোমিটার হবে পাতাল রুট। বাকি ছয় কিলোমিটার হবে অ্যালিভেটেড (উড়াল) রুট। ফলে একই রুটে পাতাল ও উড়াল ব্যবস্থার সমন্বয়ে মেট্রোরেল স্থাপিত হবে। প্রস্তাবিত এমআরটি রুট-৫ (নর্দার্ন রুট) এ ১৪টি স্টেশন থাকবে। এর মধ্যে নয়টি স্টেশন হবে আন্ডারগ্রাউন্ডে অর্থাৎ মাটির নিচে। আর বাকি পাঁচটি স্টেশন থাকবে মাটির ওপরে। প্রস্তাবিত পাতাল স্টেশনগুলো হচ্ছে- হেমায়েতপুর, বলিয়ারপুর, মধুমতি, আমিনবাজার, গাবতলী, দারুসসালাম, মিরপুর-১, মিরপুর-১০, মিরপুর-১৪। অন্যদিকে, কচুক্ষেত, বনানী, গুলশান-২, নতুনবাজার ও ভাটারায় হবে উড়াল স্টেশন। ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-৫) নর্দার্ন রুট প্রকল্পের পরিচালক মো. আফতাব হোসেন খান বলেন, প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ ও জাপান সরকারের মধ্যে ঋণচুক্তি সই হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় ২০ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে ১৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার হবে পাতাল, যোগ করেন তিনি। ইআরডির সচিব করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় ভার্চুয়ালি এ ঋণচুক্তি সই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

×