ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

চাঞ্চল্যকর সিনহা হত্যা আদালতে সাক্ষ্য

পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রদীপ-লিয়াকত ফোনালাপ, এসএমএস

প্রকাশিত: ২৩:২৫, ২৭ অক্টোবর ২০২১

পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রদীপ-লিয়াকত ফোনালাপ, এসএমএস

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার ॥ মেজর (অব) সিনহা মোঃ রাশেদ খানকে হত্যা পরিকল্পনার বিষয়টি লিয়াকতের সঙ্গে মুঠোফোনে পাকাপোক্ত করেন ওসি প্রদীপ। বাহারছড়া শামলাপুরের মারিশবুনিয়ার বাসিন্দা কমিনিউটি পুলিশিং সদস্য আয়াজ উদ্দিন, নুরুল আমিনের সঙ্গেও মেজর সিনহার গতিবিধি নিয়ে মুঠোফোনে কথোপকথন হয় ওসি প্রদীপ এবং লিয়াকতের। তারা হত্যা পরিকল্পনা সম্পন্ন করতে একে অপরের মোবাইলে মেসেজও আদান-প্রদান করেছেন। মেজর সিনহাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে মোবাইল ফোনে ইন্সপেক্টর লিয়াকতের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। হত্যা মিশন শেষে মেজর সিনহাকে শেষ করে দেয়ার সংবাদটিও ওসি প্রদীপের মুঠোফোনে জানান ইন্সপেক্টর লিয়াকত। সিনহা হত্যা মামলার সাক্ষী গ্রামীণ ফোন অপারেটর কোম্পানির কর্মকর্তা আদালতে দাঁড়িয়ে সিনহা হত্যা ঘটনায় সাক্ষ্য দেন। এছাড়াও সিআইডি কর্মকর্তারা সাক্ষ্য দিয়েছেন, আসামি লিয়াকতের বন্দুকের গুলিতে সিনহাকে হত্যা করার প্রমাণ মিলেছে। এতে রাসায়নিক পরীক্ষক মিজানুর রহমান তার সাক্ষ্যে আদালতকে জানান, আসামি লিয়াকত যে অস্ত্র দিয়ে গুলি করেছে, তা পরীক্ষায় যথাযথ প্রমাণ মিলেছে। সিনহার মরদেহ থেকে গুলি উদ্ধার এবং জব্দ করা বিভিন্ন মালামালের রাসায়নিক পরীক্ষা করে এই প্রমাণ পাওয়া গেছে। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে মঙ্গলবার সিআইডি, মোবাইল অপারেটর কোম্পানির কর্মকর্তাসহ ১৪ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী, কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানান, মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে ১৪ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ করে আদালত মুলতবি ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন, তাদের অধিকাংশই পুলিশ সদস্য। এতে পাঁচজন রয়েছেন রবি, জিপি মোবাইল কোম্পানির দুজন এবং তিনজন সিআইডির রাসায়নিক পরীক্ষক। আজ বুধবার তৃতীয় দিনে শেষ হবে ষষ্ঠ দফার সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটায় কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় ওসি প্রদীপসহ এই মামলার ১৫ আসামিকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনে গ্রামীণ ফোন কোম্পানির কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে মেজর (অব) সিনহা হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ বাহারছড়া শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব) সিনহা মোঃ রাশেদ খান।
×