স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মাল্টিপারপাস ট্রাক পার্কিং নির্মাণ করার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম। একইসঙ্গে কোন গায়ের জোর বা রাজনৈতিক জোর চলবে না। জনগণের জোর হচ্ছে সবচেয়ে বড় জোর। তাই যে যতই শক্তিধর হোক না কেন, কেউ ব্যবহারের রাস্তা দখল করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। বুধবার দুপুরে তেজগাঁওয়ের মেয়র আনিসুল হক সড়ক এবং তেজগাঁও ট্রাক টার্মিনাল ও ভাষানটেক বস্তি এলাকার সড়ক পরিদর্শনকালে গিয়ে মেয়র এসব কথা বলেন। তেজগাঁওয়ে মেয়র আতিক বলেন, এই টার্মিনালে দিনে পাঁচ হাজার ট্রাক আসা-যাওয়া করে। রাতে টার্মিনাল এবং সড়কে ট্রাক থাকে প্রায় দুই হাজার। এতে রাস্তায় জটলা তৈরি হয়। নগরবাসীকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তিনি বলেন, তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ডের জায়গাটি রেলওয়ের। আমরা রেলওয়েকে চিঠি দিয়ে জায়গাটি ডিএনসিসির কাছে হস্তান্তর করতে বলব। প্রয়োজনে নিজেও রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে দ্রুত বিষয়টি সমাধান করব।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকাকে পরিকল্পিত নগরীতে পরিণত করতে এই ধরনের সমস্যাগুলোর স্থায়ী সমাধান দরকার। পদ্মা সেতুর মতো এত বড় প্রকল্প সুন্দর পরিকল্পনার মাধ্যমে করতে পারলে এই স্ট্যান্ডের সমস্যা কেন সমাধান করতে পারব না। এ সময় ডিএনসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ট্রাকচালক মালিক সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মেয়র ভাষানটেক বস্তি এলাকা পরিদর্শনকালে মেয়র বলেন, কোন গায়ের জোর বা রাজনৈতিক জোর চলবে না। জনগণের জোর হচ্ছে সবচেয়ে বড় জোর। যে যতই শক্তিধর হোক না কেন, কেউ রাজউকের রাস্তা দখল করতে পারবে না। তিনি বলেন, এখানে এসে দেখলাম ১২০ ফুট রাস্তা হয়ে গেছে ২০ ফুট। এখানে অনেক ভবন হয়েছে রাজউকের নক্সা কোড ছাড়া। অনেকে ভবন তৈরি করেছেন গায়ের জোর বা ক্ষমতার জোরে। এখানে কোন গায়ের জোর বা রাজনৈতিক জোর চলবে না। যে যত বড়ই শক্তিধর হোক না কেন রাজউকের রাস্তা কেউ দখল করতে পারবে না। স্বেচ্ছায় যদি কেউ জায়গা ছেড়ে না দেয়, তাদের উচ্ছেদ করা হবে রাস্তা প্রশস্ত করা হবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ডেন্টাল হাসপাতাল থেকে ভাষানটেক পকেটগেট সড়ক অল্প কয়েকজন মানুষের জন্য হাজার-হাজার, লাখ-লাখ মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। এলাকার অনেকের কাছ থেকে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। আমি এখানে এসে দেখলাম, অনেকে জেনে-বুঝে বা না বুঝে রাস্তা দখল করে ভবন তৈরি করেছেন। রাজউকের রাস্তার নক্সার মধ্যে কেউ ভবন রাখতে পারবেন না। আমরা সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করব। সাতদিন সময় দিয়েছি। এই সময়ে মধ্যে উঠে না গেলে, ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।