ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ : বিজয়ী ক্রিকেট দলকে রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদানের দাবী

প্রকাশিত: ০৭:৩৩, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ : বিজয়ী ক্রিকেট দলকে রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদানের দাবী

সংসদ রিপোর্টার ॥ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ বিজয়ের আনন্দের উত্তাল হাওয়া লেগেছিল জাতীয় সংসদ অধিবেশনেও। যুব বিশ্বকাপে শিরোপা অর্জন করায় অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সংবর্ধণা ও রাষ্ট্রীয় পুরস্কার প্রদানের দাবী জানিয়েছেন বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা। এর সঙ্গে যোগ দিয়ে সরকারের মন্ত্রী-এমপিরাও অভিনন্দন ও ভালবাসায় সিক্ত করেছেন যুব বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেট তারকাদের। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি এসব দাবীগুলো তুলে ধরেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্ন এবং গণফোরামের সংসদ সদস্য ও ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ। পরে রাষ্ট্রপতির ভাষনের ওপর সাধারণ আলোচনার সময়ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুসহ সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা যুব ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপ জয়ে তাদের প্রশংসায় ছিলেন পঞ্চমুখ। পয়েন্ট অব অর্ডারে যুব ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়ে মুজিবুল হক চুন্ন বলেন, বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আজ দলমত নির্বিশেষে সারা দেশের মানুষ আনন্দিত। যুব বিশ্বকাপের আমাদের ছেলেগুলো অক্লান্ত পরিশ্রম করে যে দৃষ্টান্ত রেখেছে, সারাবিশ্বে বাংলাদেশের নাম এমন অবস্থায় নিয়ে গেছে- সারা দুনিয়ার মানুষ আজ আমাদের চিনতে পারছে। বাঙালি জাতি, বাংলাদেশের মানুষ সবাই একমত এই ছেলেদের প্রকাশ্যে ঢাকা আসার পর গণসংবর্ধনা দেওয়া হোক। এছাড়া রাষ্টীয় কোষাগার থেকে তাদের যথোপযুক্ত সম্মানি প্রদান করে তাদের সম্মানিত করা হোক। গণফোরামের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ এ দাবী সমর্থন করে বলেন, যুব বিশ্বকাপে আকবর বাহিনীর (অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক আকবর) বিজয়ের মাধ্যমে ৪৯ বছরের আগের সেই স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে যেভাবে পরিচিত ছিলাম, সেইভাবেই যেন আবার আমরা পরিচিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- বাঙালিরা মাথা উচু করে দাঁড়াবেই, বাঙালিরা এগিয়ে যাবে, বাঙালিরা কখনো মাথানত করবে না। সেটি আবারও প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা প্রমাণ করেছি এই উপমহাদেশে বাংলাদেশ হচ্ছে অগ্রগামী দেশ। বাংলাদেশ আজ যেমনভাবে যুব বিশ্বকাপ জয় করেছে, তেমনি ১৯৯৭ সালে আইসিসিতে জয়লাভ করেছিলাম। তাই আকবর বাহিনীকে সংবর্ধণা জানিয়ে, অভ্যর্থনা জানিয়ে স্বাগত জানানো হোক। তিনি বলেন, অনূর্ধ্ব-১৯ দলের খেলোয়াড়রা যেভাবে সন্মান বয়ে এনেছে, তাই তারা যতদিন পড়াশোনা করবে তাদের পড়াশোনা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত খেলার পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর তত্ববধানে তারা যেন শিক্ষা জীবন সমাপ্ত করার জন্য যে অর্থের প্রয়োজন হবে, সেই অর্থ যেন রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে দেয়া হয়। তাছাড়া তাদের সুন্দর জীবন যাপনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তাদের প্লট দেয়া হোক।
×