ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

বোর্ড সভায় অনুমোদন

সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুত কেন্দ্রে আরও ১৩৮০ কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ১৫ নভেম্বর ২০১৫

সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুত কেন্দ্রে আরও ১৩৮০ কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সিদ্ধিরগঞ্জ ৩৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণে নতুন করে ১ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত বিশ্বব্যাংকের বোর্ডসভায় এ প্রকল্পের জন্য অতিরিক্ত সহায়তা বিষয়টি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। শনিবার সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিদ্যুত উৎপাদন ও সরবরাহের গতি বাড়াতে সিদ্ধিরগঞ্জ প্রকল্পে অতিরিক্ত অর্থ দেবে বিশ্বব্যাংক। বোর্ডসভায় ১৭ কোটি ৭ লাখ মার্কিন সম-পরিমাণ অর্থ (৭৮ টাকা প্রতি ডলার) প্রদানের বিষয়টি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ২০০৮ সালে গ্যাসভিত্তিক ৩০০ মেগাওয়াটের প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে ৩৫ কোটি ডলারের ঋণ প্রদান করা হয়। গ্যাসের স্বল্পতা ও ক্রমবর্ধমান বিদ্যুত চাহিদার কথা বিবেচনা করে সরকার এই বিদ্যুত কেন্দ্রকে ৩৩৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুত কেন্দ্রে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়। এ অবস্থায় নতুন এ ঋণ সহায়তা সরকারের এ উদ্দেশ্য পূরণে ব্যয় করা হবে। ২০১৬ সালনাগাদ এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুত প্রকল্পের টিম লিডার মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, বিশ্বব্যাংকের ২০১৩ সালের এন্টারপ্রাইজ জরিপ অনুসারে, দেশে বিদ্যুত বিভ্রাটের কারণে মোট দেশজ উৎপাদনের (ডিজিপি) প্রায় ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি কম হচ্ছে। নিজস্ব ব্যবস্থাপনা বিদ্যুত ব্যবহারের কারণে ৬৫ শতাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। ডুয়িং বিজনেজ প্রতিবেদন অনুসারে বিদ্যুতের এই চাহিদা ২০৩০ সালনাগাদ দ্বিগুণ হবে বলে জানান তিনি। এই অবস্থায় সিদ্ধিরগঞ্জে বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা বাড়াচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক। এতে আরও বলা হয়, এই অর্থ দিয়ে বিদ্যুত কেন্দ্রটি নির্মাণ করার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুত খাতের তিন সংস্থাকে শক্তিশালীকরণেও কাজ করা হবে। এগুলো হচ্ছে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি (জিটিসিএল), বাংলাদেশ ইলেক্টিসিটি জেনারেশন কোম্পানি (ইজসিবি) ও বাংলাদেশ পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি (পিজিসিবি)। সূত্র জানায়, এটি বিশ্বব্যাংকের সহজ শর্তের আইডিএ ঋণ। যা পরিশোধে ৬ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৮ বছর সময় পাবে বাংলাদেশ। এর বিপরীতে দশমিক ৭৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ দিতে হবে।
×