![উদ্যোক্তা শারমিন লাবণী উদ্যোক্তা শারমিন লাবণী](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2023January/oprajita-3-2302091934.jpg)
শারমিন আফরোজ লালন বাউলের দেশ কুষ্টিয়ার মেয়ে। কুড়িগ্রামের বউ
শারমিন আফরোজ লালন বাউলের দেশ কুষ্টিয়ার মেয়ে। কুড়িগ্রামের বউ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন সম্পন্ন করে স্যার জন উইলসন স্কুলে কিছুদিন শিক্ষকতা করেছেন। পরবর্তীতে বিয়ের পর অন্যের ঘরণি হয়ে যান। শুধু তাই নয়, স্বামীর উচ্চশিক্ষার্থে সুইডেনে গিয়ে প্রবাসী জীবনও কাটাতে হয়। সেদেশে শারমিন বসেও থাকেননি। ভাষার ওপর কোর্স করে লাগাতার পাঁচ বছর কর্মজীবনও পাড়ি দেওয়ার গল্প ভাগ করে নিয়েছেন। এরপর দেশে ফিরে এসে স্বামী-সন্তান নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটান।
দুই পুত্র সন্তানের জননী শারমিন, ছেলেরা বড় হয়ে শিক্ষা জীবনে ঢুকে গেলে তিনি নতুন করে নিজেকে নিয়ে ভারতেও শুরু করলেন। তেমন তাগিদে ২০১৬ সালে তার উদ্যোক্তা হওয়ার নতুন শুভ যাত্রা। শুরু করেন ‘যথাশিল্প’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্বে কাজ করার প্রথম অভিজ্ঞতা আজও নিজেকে নাড়িয়ে দেয়। এরপর ২০২২ সালে শুরু হয় আর এক কর্মময় জগতে পথচলা।
এখানে পূর্ব সামান্য অভিজ্ঞতায় উদ্যোক্তার কাতারে নিজেকে দাঁড় করানোর অনন্য স্বপ্ন। তবে চাকরি না খোঁজার কারণও তিনি সাবলীনভাবে তুলে ধরেন। বললেন চাকরি করতে স্বাচ্ছন্দ্যই বোধ করেননি কোনোদিন। স্বাধীনভাব্ েনিজের পায়ে দাঁড়ানোর যে অনমনীয় ভাবনা সেটাই উদ্যোক্তা হওয়ার মূলমন্ত্র। যে কাজে আনন্দ আর স্বাবলম্বী হওয়ার গল্প থাকবে তেমন স্বপ্নই ভেতরের বোধে অনুক্ষণ নাড়াও দিয়েছে। তবে যে কোনো কাজের শুরুটা সহজ ও নির্বিঘœ হয় না।
অনেক চড়াই-উৎরাই ডিঙ্গিয়ে নিজেকে গড়ে তুলতে হয়। তবে কালক্রমে তেমন সিঁড়ি পাড়ি দেওয়াও যেন নিজের স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে চলা। এই যথাশিল্পের শুভ সূচনা করেন মাত্র ৩/৪ জন সহযোগীকে নিয়ে। না, মূলধন যোগাড় করতে খুব একটা অসুবিধাই হয়নি। সেখানে স্বামীই সার্বিক সহযোগিতায় পাশে এসে দাঁড়ান।
এগিয়ে চলা এই ‘যথাশিল্পের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও স্বপ্ন পূরণের এক অবিচ্ছিন্ন যাত্রা। যেখানে সম্মিলিতভাবে বহু উদ্যোক্তা একসঙ্গে অভিন্ন ছাদের ছায়ায় নিজেদের কর্মজগৎকে সম্প্রসারিত করবে। শুধু তাই নয় দেশীয় ঐতিহ্যবাহী শিল্পের প্রতি আগ্রহ আর উৎসাহ থেকেই হস্ত ও কারুশিল্পের দিকেই তার নজর এসেছে সর্বাগ্রে। তবে একজন সফলকাম নারী উদ্যোক্তাকে অনেক কিছুই বিবেচনায় রেখেই পথ চলতে হয়। সেখানে সততা, পরিশ্রম, অধ্যবসায়, আত্মবিশ্বাস, ধৈর্য, সাহস আর স্বপ্নকে নিয়ে কোনো আপোসকামিতাকে পাশে ঘেঁষতে দেওয়াই যাবে না। এমন সব প্রয়োজনীয় বোধের ঘাটতিতে পেছনে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা পদে পদে।