ছবি: সংগৃহীত
স্ত্রীর আচরণে হঠাৎ পরিবর্তন এলে অনেকেই সন্দেহে ভোগেন। তবে পরকীয়ার বিষয়টি অনেক সংবেদনশীল, তাই সরাসরি উপসংহারে পৌঁছানো নয়, বরং কিছু লক্ষণ দেখে সচেতন থাকা জরুরি। নিচে স্ত্রীর পরকীয়ার চারটি সম্ভাব্য লক্ষণ তুলে ধরা হলো, যা বিশেষজ্ঞরাও সম্পর্ক বিশ্লেষণে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন:
১. আচরণ ও আগ্রহে হঠাৎ পরিবর্তন
আপনার প্রতি তার আগ্রহ, মমতা বা যত্নে হঠাৎ বড় ধরনের পরিবর্তন আসলে তা লক্ষণীয়। আগে যেখানে প্রতিদিন কথা বলতো, এখন অকারণে নিরুত্তর থাকা। হঠাৎ করেই আপনার সঙ্গে রুটিন বদলে ফেলা বা একা থাকতে চাওয়া। অল্প কিছুতে রেগে যাওয়া বা ঝগড়া করার অজুহাত খোঁজা।
২. ফোন ব্যবহার গোপনীয় হয়ে যাওয়া
মোবাইল ফোনের ব্যবহার আচমকা গোপনীয় হয়ে গেলে তা সন্দেহজনক হতে পারে। ফোনে পাসওয়ার্ড দেওয়া, বারবার বদলানো। বার্তা আসলেই অন্য ঘরে গিয়ে কথা বলা। আপনি ফোন ধরলেই বিরক্তি বা রেগে যাওয়া।
৩. সময়ের হিসাব মেলাতে না পারা
স্ত্রী কোথায় যাচ্ছেন, কাদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন—এর সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দিতে না পারা বা সময় লুকানো। অফিস থেকে দেরিতে ফেরা, কিন্তু তা নিয়ে স্বচ্ছ ব্যাখ্যা না থাকা। “বন্ধুর সঙ্গে আছি” বললেও বন্ধুদের নাম, কাজ বা পরিকল্পনায় অসংগতি ধরা পড়া। ঘন ঘন একা বাইরে যাওয়া এবং বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া।
৪. নিজেকে হঠাৎ অতিরিক্ত সাজানো ও আত্মমগ্নতা
নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলার প্রয়াস বেড়ে যাওয়া, কিন্তু তা আপনার জন্য নয়—এমন ইঙ্গিত থাকলে সন্দেহ তৈরি হতে পারে। হঠাৎ করে নতুন পোশাক, পারফিউম, সাজগোজ—কিন্তু আপনার সামনে আগ্রহ কম। নিজের শরীর বা সৌন্দর্য নিয়ে সচেতনতা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া। আপনার মন্তব্য বা প্রশংসা যেন তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়—এমন প্রতিক্রিয়া পাওয়া।
এই লক্ষণগুলো দেখা দিলেই পরকীয়া হচ্ছে—এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছানো উচিত নয়। এসব হতে পারে মানসিক চাপ, আত্মসম্মান, অবসাদ কিংবা অন্য অনেক কারণে। তাই আগে খোলামেলা ও সতর্কভাবে কথা বলুন। প্রয়োজনে পারিবারিক কাউন্সেলিংয়ে যান। সম্পর্ক রক্ষার জন্য আন্তরিক চেষ্টা জরুরি। সম্পর্কে সন্দেহ যতটা ক্ষতিকর, ঠিক ততটাই প্রয়োজনীয় সতর্ক দৃষ্টি রাখা। সততা, সম্মান ও খোলামেলা আলোচনা—এসবই একটি সুস্থ বৈবাহিক জীবনের মূল ভিত্তি।
ফারুক
