ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ইনফ্লুয়েন্সাররা আয় বাড়াতে পারেন যেভাবে

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৪৯, ১১ জুন ২০২৫

ইনফ্লুয়েন্সাররা আয় বাড়াতে পারেন যেভাবে

ছবি: সংগৃহীত

সোশ্যাল মিডিয়ায় ইনফ্লুয়েন্সারদের আয়ের কথা উঠলেই প্রথমে চোখে পড়ে ব্র্যান্ড ডিল, স্পনসরড পোস্ট এবং মনিটাইজেশনের বিষয়টি। টিকটক বা ইউটিউব থেকে সরাসরি অর্থ পাওয়ার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কেবল এতেই সীমাবদ্ধ নয়। অনেক সফল ক্রিয়েটর বা ইনফ্লুয়েন্সার তাদের আয়ের উৎসকে বহুমাত্রিক করে তুলেছেন, যা তাদের দীর্ঘমেয়াদে আরো স্থিতিশীল ও স্বাধীন আয় নিশ্চিত করেছে।

ম্যাটাডোর নেটওয়ার্কের প্রধান রস বর্ডেন ‘CREATOR: The Podcast’ চালু করার পর আবিষ্কার করেন ইনফ্লুয়েন্সারদের আরও কয়েকটি অভিনব আয়ের উপায়। নিচে তুলে ধরা হলো এমন চারটি কৌশল, যেগুলো বর্তমান ডিজিটাল দুনিয়ায় অনেক ইনফ্লুয়েন্সারই ব্যবহার করছেন। 

১. বই প্রকাশ
ক্রিয়েটররা বই প্রকাশের মাধ্যমে নিজস্ব ভাবনা বা নান্দনিকতাকে নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপন করতে পারেন। ফটোগ্রাফার ও অ্যাডভেঞ্চার ক্রিয়েটর ক্রিস বারকার্ড এই মাধ্যমকে দক্ষতার সঙ্গে কাজে লাগিয়েছেন।

২০০৯ সালে প্রকাশিত The California Surf Project ছিল তার প্রথম বই। এরপর তিনি আরও আটটি বই প্রকাশ করেছেন, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে শিশুদের জন্য লেখা The Boy Who Spoke To The Earth—এটি আজও আমেরিকার বিভিন্ন ন্যাশনাল পার্কে পাওয়া যায়।

ক্রিস মনে করেন, “নতুন পাঠক ও দর্শকের কাছে পৌঁছাতে বই গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। বই যেমন সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলোয়ার বাড়ায়, তেমনি সোশ্যাল মিডিয়াও বইয়ের বিক্রি বাড়াতে সাহায্য করে।”

২. পণ্য বিক্রি
কল ওয়ালিসার মূলত ভিডিও নির্মাতা ও উপস্থাপক, যার ‘GlamBOT’ ভিডিওগুলো হলিউডের রেড কার্পেটে বেশ জনপ্রিয়। তবে তার সাম্প্রতিক উদ্যোগ একটি কফি ব্র্যান্ড—CREO, যার স্লোগান: “to fuel your creative mind.”

তিনি শুধু কফি নয়, মগ, প্যাকেজিংসহ পুরো প্রক্রিয়াকেই রুচিশীলভাবে তৈরি করেছেন। API (Asian Pacific Islander) হেরিটেজ মান্থ উপলক্ষে এশিয়ান রোস্টারদের তৈরি কফি বিক্রির পুরো অর্থ এশিয়ান কমিউনিটির জন্য দান করেছেন।

৩. ডিজিটাল প্রোডাক্ট তৈরি
ট্রাভেল ইনফ্লুয়েন্সার এলোনা কারাফিন বর্তমানে তৈরি করছেন একটি অ্যাপ—Japan Like a Local। এটি একটি বুকিং প্ল্যাটফর্ম, যেখানে জাপানের বিভিন্ন হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও কার্যক্রমের জন্য ডিসকাউন্ট দেওয়া হবে।

এলোনার মতে, “বর্তমানে জাপান সম্পর্কিত যেসব অ্যাপস আছে, তা বেশ পুরনো ও টোকিওকেন্দ্রিক। আমরা চাই এমন একটি অ্যাপ বানাতে, যেটা গোটা জাপানকে কভার করবে।”

ডিজিটাল প্রোডাক্টের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, একসময় এটিকে বিক্রিও করে দেওয়া সম্ভব, যা একজন ইনফ্লুয়েন্সারের জন্য দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ হিসেবে কাজ করতে পারে।

৪. ভ্রমণ
এলোনা কারাফিন ও তার পার্টনার বর্তমানে ইরাক ও সিরিয়ার মতো দেশে দলভিত্তিক ভ্রমণের আয়োজন করছেন। এ ধরনের দেশগুলো সম্পর্কে সাধারণত ভয় ও ভুল ধারণা রয়েছে। 

তবে এলোনা বলেন, “ইরাক এক দশকের বেশি সময় ধরে অনেকটাই শান্ত। যখন আমরা সেখানে গেলাম, দেশটির প্রতি ভালোবাসা তৈরি হলো। তখনই ভাবলাম—মানুষকে এই বাস্তব চিত্র দেখাতে হবে।”

তার প্রথম দল ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পূর্ণ হয়ে যায়। পরবর্তীতে তিনি সিরিয়াতেও দল নিয়ে যেতে শুরু করেন। শুধুমাত্র অনুপ্রেরণামূলক কনটেন্ট বা অ্যাপ নয়, বরং সরাসরি গাইডের ভূমিকায় গিয়ে তিনি মানুষের মধ্যে সাহস ও ভরসা তৈরি করেন।

মুমু ২

×