ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দুই নেতাকে দলীয় পদ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে দুইজন নিহত এবং বাড়িঘরে ভাঙচুরের ঘটনায় এ সিদ্ধান্ত নেয় জেলা বিএনপি।
বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আবু সাঈদ জোয়াদ্দার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি বিলুপ্ত এবং দুই নেতাকে সাময়িক বহিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১ জুন কালীগঞ্জ উপজেলার জামাল ও কোলা ইউনিয়নে সংঘর্ষে দুইজন নিহত ও বাড়িঘরে ভাঙচুরের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত শেষে কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
একইসঙ্গে কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. নুরুল ইসলাম এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য আশরাফ হোসেন (মুহুরী) কে দলীয় সব পদ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সংঘর্ষ ও হামলা-ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত অন্য কেউ থাকলে, অধিকতর তদন্তের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা বলেন, “কালীগঞ্জে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে দুই কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ডা. নুরুল ইসলাম ও আশরাফ হোসেন (মুহুরী) কে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, গত ১ জুন কালীগঞ্জ উপজেলার ২নং জামাল ইউনিয়নের নাকোবাড়িয়া এলাকায় বিএনপির দু’গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে মহব্বত আলী ও ইউনুছ আলী নামে আপন দুই ভাই নিহত হন।
চাঞ্চল্যকর ওই হত্যাকাণ্ডের জেরে উভয় পক্ষের বাড়িঘরে পাল্টাপাল্টি হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি আমলে নিয়ে জেলা বিএনপি দলীয়ভাবে তদন্ত শুরু করে।
সজিব
