
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বজুড়ে বাথরুম সংস্কৃতিতে আসছে বড় পরিবর্তন। হাজার হাজার গাছ কাটার দায়ে অভিযুক্ত, ত্বকের জন্য ক্ষতিকর এবং পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে অকার্যকর টয়লেট পেপার এখন বিদায়ের পথে। তার জায়গা নিচ্ছে আধুনিক ও কার্যকর জলভিত্তিক পরিষ্কার ব্যবস্থাপনা—যেমন বিডে, ওয়াশলেট ও জলধারাযন্ত্র।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টয়লেট পেপারের যুগ শেষ হয়ে এসেছে। কারণ এটি শুধু অপ্রয়োজনীয়ই নয়, বরং অস্বাস্থ্যকরও।
বিশ্বে প্রতিদিন প্রায় ২৭ হাজার গাছ কাটা হয় টয়লেট পেপার তৈরির জন্য। শুধু পরিবেশ নয়, মানবদেহের জন্যও এর নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। মলত্যাগের পর শুধুমাত্র পেপার দিয়ে মুছে ফেলার ফলে পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত হয় না, বরং অতিরিক্ত ঘষাঘষিতে ত্বকে জ্বালা, লালচে দাগ এবং সংবেদনশীল অংশে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
১৮৯১ সালের একটি পেটেন্টে টয়লেট পেপার ব্যবহারের ‘সঠিক উপায়’ জানানো হলেও, সেটিও তার মূল সীমাবদ্ধতা দূর করতে পারেনি।
জাপান বহু বছর আগেই টয়লেট পেপারের সীমাবদ্ধতা বুঝে জলভিত্তিক বিকল্পকে গ্রহণ করেছে। আজ তাদের আধুনিক বাথরুমগুলোতে পাওয়া যায় স্মার্ট বিডে সিস্টেম, যেগুলিতে রয়েছে পানির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, চাপ সমন্বয়, এমনকি গরম বাতাসে শুকানোর সুবিধাও।
প্রতি রোল টয়লেট পেপার তৈরিতে ৩৭ গ্যালন পানি প্রয়োজন, যেখানে একটি বিডে ব্যবহারে লাগে মাত্র কয়েকশো মিলিলিটার। তাই পানি অপচয়ের কথাও আর বলা চলে না।
এছাড়া, নিয়মিত বিডে ব্যবহারে মলদ্বারে জ্বালা, ইউরিনারি ইনফেকশন ও হেমোরয়েডস-এর মতো সমস্যাও অনেকটাই কমে।
বর্তমানে বাজারে এমন বিডে অ্যাটাচমেন্ট পাওয়া যায় যা বিদ্যুৎ ছাড়াই, বিদ্যমান টয়লেট ফিক্সচারের সঙ্গে সংযুক্ত করা যায়। এতে ব্যয় কম, আর বড়সড় সংস্কারের প্রয়োজন নেই।
মুমু ২