ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

একটু ভুলেই নষ্ট হতে পারে কোরবানির মাংস!

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:০৫, ৬ জুন ২০২৫

একটু ভুলেই নষ্ট হতে পারে কোরবানির মাংস!

ছবি: সংগৃহীত

কোরবানির ঈদে প্রতিটি মুসলিম পরিবারের ঘরে আসে প্রচুর পরিমাণে মাংস। তবে এই মাংস সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে অসতর্কতা মানবদেহে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সঠিক নিয়মে সংরক্ষণ না করলে মাংসে জীবাণু সংক্রমণ, বিষক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

মাংস সংরক্ষণের সঠিক পদ্ধতি

কোরবানির পরপরই মাংস কিছুক্ষণ খোলা বাতাসে রেখে ঠান্ডা করতে হবে। এরপর প্লাস্টিক বা অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে ভালোভাবে মুড়ে ভাগ ভাগ করে সংরক্ষণ করা উচিত।

১-২ দিনের জন্য: ফ্রিজের নিচের অংশে (৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে) রাখা যায়।

দীর্ঘদিনের জন্য: ডিপ ফ্রিজে -১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করা উচিত।

সংরক্ষণের আগে: অতিরিক্ত চর্বি ও রক্ত পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে।

 

অনেক পরিবার কোরবানির মাংস দিয়ে বানিয়ে থাকেন কাবাব, সসেজ, ঝালমুড়ি মিক্স বা প্যাকেটজাত ভুনা। এসব ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতি ও উপাদান ব্যবহার করতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজারজাত প্রক্রিয়াজাত মাংস খাদ্য অধিদপ্তরের অনুমোদিত ল্যাবে পরীক্ষা করেই গ্রহণ করা উচিত।

 যেসব ভুল করা যাবে না

রক্তভেজা, গরম অবস্থায় ফ্রিজে মাংস রাখা ঠিক নয়।

অপরিষ্কার পাত্রে মাংস রাখা বা ব্যবহৃত ছুরি ও কাটিং বোর্ড না ধুয়ে পুনরায় ব্যবহার করা বিপজ্জনক।

ফ্রিজে অন্য খাবারের সঙ্গে মাংস সংরক্ষণ করলে ক্রস-কনটামিনেশন হতে পারে।

 

 বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

জাতীয় পুষ্টি ইনস্টিটিউটের পুষ্টিবিদ ডা. রুকসানা হায়দার বলেন,“মাংস ভালোভাবে সংরক্ষণ করলে তা দীর্ঘদিন খাওয়া নিরাপদ, কিন্তু তাপমাত্রা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সময়ের প্রতি যথাযথ দৃষ্টি দিতে হবে।”

মাংস সংরক্ষণে প্রযুক্তির ব্যবহার

বর্তমানে অনেকেই ভ্যাকুয়াম প্যাকিং, ব্লাস্ট ফ্রিজিং ও সোলার ড্রায়িং প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন, যা গ্রামীণ ও শহুরে পর্যায়ে সংরক্ষণকে আরও কার্যকর করে তুলছে।


কোরবানির মাংস সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ শুধু খাবারের স্বাদ ও গুণমান রক্ষা নয়, বরং স্বাস্থ্যসুরক্ষার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এবারের ঈদে সচেতনতা ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে কোরবানির মাংস সংরক্ষণের বিষয়টি সবার অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।

Mily

×