
ছবি: সংগৃহীত
অনেক তরুণ-তরুণীর মাঝেই একটি সাধারণ প্রশ্ন ঘুরপাক খায়—জিম করলে কি সত্যিই উচ্চতা বাড়ানো সম্ভব? বিশেষ করে বয়ঃসন্ধিকালে শরীরের গঠন পরিবর্তনের সময় এই প্রশ্ন আরও বেশি গুরুত্ব পায়। তবে এর উত্তর পুরোপুরি নির্ভর করে বয়স, হরমোনাল পরিবর্তন ও জেনেটিক ফ্যাক্টরের উপর।
বিশেষজ্ঞের মতামত
ঢাকার একটি স্বনামধন্য ফিটনেস সেন্টারের ইনস্ট্রাক্টর ও সনদপ্রাপ্ত ফিটনেস বিশেষজ্ঞ মাসুদ রানা বলেন, “বয়স যদি ১৮ বছরের নিচে হয়, তবে সঠিক ওয়ার্কআউট, পর্যাপ্ত ঘুম ও পুষ্টিকর খাদ্য উচ্চতা বাড়াতে কিছুটা সাহায্য করতে পারে। তবে ১৮ থেকে ২১ বছরের পর শরীরের হাড়ের গ্রোথ প্লেট বন্ধ হয়ে যায়, ফলে তখন উচ্চতা বাড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।”
তিনি আরও বলেন, “জিমে যেমন স্ট্রেচিং, হ্যাংিং, সুইমিং কিংবা ইয়োগার মতো ওয়ার্কআউটগুলো শরীরকে সোজা রাখতে ও ‘পোশচার’ ঠিক করতে সাহায্য করে, তেমনি কিছু ক্ষেত্রে সামান্য উচ্চতা বাড়ার অনুভূতিও হতে পারে। কিন্তু জিনগত সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করা সম্ভব নয়।”
যা করতে পারেন
ফিটনেস এক্সপার্টরা পরামর্শ দেন, যদি আপনার বয়স এখনো ১৮ বছরের নিচে হয়, তাহলে নিচের বিষয়গুলো অনুসরণ করা যেতে পারে:
* প্রতিদিন অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমানো
* পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া
* নিয়মিত হ্যাংিং, স্ট্রেচিং ও সাঁতার চর্চা
* সোজা হয়ে হাঁটার অভ্যাস গড়ে তোলা
* ভুল ধারণা থেকে বেরিয়ে আসুন
অনেকেই ভাবেন যে ভারি ওজন তোলা উচ্চতা কমিয়ে দেয়। এটি একেবারে সঠিক নয়। মাসুদ রানা বলেন, “ঠিকমতো ট্রেইনিং আর গাইডলাইনের মধ্যে থেকে ওজন তোলা হলে কোনো ক্ষতি হয় না বরং শরীরের গঠন আরও ভালো হয়।”
সুতরাং, উচ্চতা বাড়ানোর জন্য জিম করা যেতে পারে, তবে সেটি বয়স ও নিয়মিত অভ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। হঠাৎ করে জাদুর মতো উচ্চতা বাড়ানোর কোনো শর্টকাট নেই—এটাই বাস্তবতা।
আসিফ