ছবিঃ সংগৃহীত।
ফিটকারি (Alum) প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণসম্পন্ন একটি উপাদান। এটি দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এবং বিভিন্ন দাঁতের সমস্যা সমাধানে কার্যকরী হতে পারে।
১. দাঁতের হলুদভাব দূর করতে:
ফিটকারি দাঁতের হলুদভাব বা দাগ দূর করতে সাহায্য করে। দাঁতে জমে থাকা প্লাক, খাদ্য কণা এবং ময়লা ফিটকারির অ্যান্টিসেপটিক গুণ দ্বারা পরিষ্কার হয়ে যায়, যা দাঁতের হলুদ ভাব কমাতে সহায়ক। নিয়মিত ব্যবহারে দাঁত সাদা ও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
২. মুখের দুর্গন্ধ দূর করা:
মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে ফিটকারি কার্যকরী। এটি মুখের মধ্যে জমে থাকা অস্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়াগুলির বিরুদ্ধে কাজ করে এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সহায়তা করে। ফিটকারি প্রাকৃতিকভাবে মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর করে, যা দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে, এবং ফলস্বরূপ দীর্ঘসময় ধরে মুখে তাজা ভাব আসে।
৩. দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষা:
ফিটকারির অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ দাঁতের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করে। এটি দাঁতের মাড়ি ও দাঁতকে শক্তিশালী করতে পারে এবং গাম (মাড়ি) থেকে রক্ত পড়া বা অ্যালার্জি সমস্যা কমাতে সহায়ক। ফিটকারি দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারে, বিশেষ করে যাদের দাঁতে সহজে মাড়ির প্রদাহ বা গাম ডিজিজ হয়।
ফিটকারি ব্যবহারের পদ্ধতি:
১. গুঁড়া ফিটকারি: প্রথমে ফিটকারি গুঁড়া করে নিন। তার পর এটি টুথপেস্টের সাথে মিশিয়ে দাঁত ব্রাশ করতে পারেন।
২. ফিটকারির জল তৈরি করা: এক গ্লাস পানিতে সামান্য ফিটকারি গুঁড়া করে মিশিয়ে মুখে গার্গল (গার্গল) করতে পারেন। এতে দাঁত পরিষ্কার হয়ে যাবে এবং মুখের দুর্গন্ধও দূর হবে।
৩. ফিটকারি পেস্ট: কিছু পরিমাণ ফিটকারি গুঁড়া এবং সামান্য পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করে দাঁত ব্রাশ করা যেতে পারে। এটি দাঁত পরিষ্কার ও সুস্থ রাখবে।
সতর্কতা:
ফিটকারি যদি অতিরিক্ত ব্যবহার করা হয়, তবে এটি দাঁতের এনামেল (enamel) ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, তাই নিয়মিত ব্যবহারের ক্ষেত্রে এটি সঠিক পরিমাণে ব্যবহার করা উচিত। যদি কোনো দাঁতের সমস্যা গুরুতর হয়, তাহলে একজন ডেন্টিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ফিটকারি দাঁতের সুস্থতা বজায় রাখতে এবং মুখের তাজগন্ধ বজায় রাখার জন্য একটি সহজ ও প্রাকৃতিক উপায় হতে পারে।
মুহাম্মদ ওমর ফারুক
