
অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস কিন্তু আমিত্ব তৈরি করে।
বিয়ে কোনো ছেলে ভোলানো খেলা নয় বন্ধু। একজন মেয়ের সঙ্গে চার হাত এক করার অর্থ হলো আপনি গোটা জীবন তার সঙ্গে থাকার অঙ্গিকার করলেন। এরপর জীবনে সুখ-দুঃখ যাই আসুক না কেনো আপনারা দুজনেই এক সঙ্গে ঠিক কাটিয়ে দেবেন। তাই মালা বদলের জন্য একজন সঠিক পাত্রীর খোঁজ করা বিশেষভাবে প্রয়োজন। তা না হলে জীবনে কষ্টের শেষ থাকবে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক পুরুষই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে বেশি তাড়াহুড়ো করেন। আর এই কারণেই তাদের গাড়ি পড়ে যায় গাড্ডায়। ভাগ্যের পরিহাসে তাদের ভুল মেয়েদের সঙ্গে বিয়ে হয়। আর তারপরই শুরু হয় মানসিক দ্বন্দ্ব। আর সেই মানসিক যুদ্ধেই বহু পুরুষের জীবন খাদের কিনারায় পৌঁছে যায়। তাই বিয়ের আগে থেকেই প্রত্যেক পুরুষকে পাত্রী নির্বাচনের জন্য সতর্ক থাকতে হবে।
আগামীদিনে সম্পর্কে চিঁড় ধরতে পারে, এমন মেয়েদের এড়িয়ে যাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। ভাবছেন কারা তারা? সেই উত্তর জানুন:
১. সমস্যার নাম ‘ইনসিকিউরিটি’: প্রত্যেক স্ত্রীই তার স্বামীর কাছে সম্পর্কের নিরাপত্তা আশা করেন। এটা হলো দাম্পত্যের প্রাথমিক শর্ত। তাই এই নিয়ে বেশি বিচলিত হওয়ার কিছুই নেই। তবে কিছু কিছু মেয়ে আবার সম্পর্ক নিয়ে অহেতুক অনিশ্চয়তায় ভোগেন। তাদের মনে সারাক্ষণ নেতিবাচক চিন্তা চলে। তারা সবসময় এই ভয়েই কাঁপতে থাকেন যে এই বুঝি সঙ্গী ছেড়ে চলে গেল। আর তাদের এমন মানসিকতাই সম্পর্কের উপর সরাসরি আঘাত হানে। তাদের এই বদভ্যাস আপনাকে সুখে সংসার করতে দেবে না। তাই কোনো মেয়ের মধ্যে অতিরিক্ত অনিশ্চয়তা থাকলে তার সঙ্গে বিয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার কথা না ভাবাই মঙ্গল।
২. মুখে মিথ্যের ফুলঝুরি: প্রয়োজনে সকলেই মিথ্যে বলে থাকেন। তবে কথায় কথায় মিথ্যে বললে কিন্তু মুশকিল। বিশেষত, সব কথায় স্ত্রী যদি আপনাকে মিথ্যে বলতে থাকেন তাহলে দাম্পত্য লাটে উঠতে সময় লাগবে না। কারণ, এই পরিস্থিতিতে আপনি স্ত্রীকে বিশ্বাসই করে উঠতে পারবেন না। তাই কিছুদিনের ভেতরেই যে তার সঙ্গে আপনার দূরত্ব তৈরি হয়ে যাবে, এটা বলাই বাহুল্য। সুতরাং এই ধরনের মেয়েদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখাটাই হলো বুদ্ধিমানের কাজ।
৩. অহংবোধ টগবগ করে ফুটছে: নিজের প্রতি, নিজের কাজের প্রতি বিশ্বাস থাকা ভালো। না হলে এই সমাজ আপনাকে জুতোর তলায় পিষে দিয়ে চলে যাবে। তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস কিন্তু আমিত্ব তৈরি করে। তারা সব বিষয়েই নিজের কৃতিত্ব খুঁজে নেন। এমনকী তাদের সঙ্গে বিয়ে করলে সংসারের সব ভালো তার দিকে, আর সব খারাপ আপনার দিকে রয়ে যাবে। তাই অহংবোধে পরিপূর্ণ মেয়েদের সঙ্গে মালাবদল না করাই মঙ্গল।
৪. অসম্মান করাটাই যার কাজ: শুধু বই পড়ে, একের পর এক ডিগ্রি পেলেই মানুষের মতো মানুষ হওয়া যায় না। বরং মানুষের মতো মানুষ হতে চাইলে আপনাকে মানবদর্শনে দিক্ষিত হবে। আর এই বিষয়টাই অনেকে বুঝে উঠতে পারেন না। সেই কারণেই তারা অহংকারে পরিপূর্ণ হয়ে সকলকেই যা নয় তাই বলে দেন। এমনকি তারা গুরুজনদেরও ছেড়ে কথা বলেন না। তাই এমন গুণবতী মেয়ের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনীতে জড়িয়ে পড়লে যে আপনার জীবনে বিপদের শেষ থাকবে না, এটা বলাই বাহুল্য।
৫. অনেকের সঙ্গে সম্পর্ক: অনেক মেয়েই একই সময়ে অনেকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তাদের মনপাখি সবসময় উড়তে থাকে। কোথাও একটুও বসতে চায় না। তাই এই ধরনের মেয়েরা যতই সুদর্শন ও মিষ্টভাষী হন না কেনো, তাদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। না লে আপনি সংসারে কোনোদিনই সুখী হবেন না। কারণ, বিয়ের পরই যে এনাদের মতিগতি সম্পূর্ণ বদলে যাবে, এমন তো নয়। তাই আগামীদিনে বড়সড় বিপদে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হবে।
এম হাসান