ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

বিয়ে বাড়ি থেকে শিশু শিক্ষার্থী নিখোঁজ: চার দিনেও মেলেনি সন্ধান

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালকিনি, মাদারীপুর

প্রকাশিত: ১০:১৯, ১৭ জুন ২০২৫; আপডেট: ১০:২১, ১৭ জুন ২০২৫

বিয়ে বাড়ি থেকে শিশু শিক্ষার্থী নিখোঁজ: চার দিনেও মেলেনি সন্ধান

ছবিঃ সংগৃহীত

পরিবারের সদস্যদের সাথে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিল ৮ বছরের শিশু শিক্ষার্থী নাছিমা আক্তার। সেখান থেকে নিখোঁজ হয়। থানায় জিডি করার চারদিনেও উদ্ধার হয়নি ওই শিশুটি। এই অবস্থায় উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটছে পরিবারের। শিশুটিকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তার পরিবার। এদিকে ওই নিখোঁজ হওয়া শিশুর বাড়িতে প্রতিনিয়ত ভিড় জমাচ্ছেন এলাকার সাধারণ জনগণ। 

আজ মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। কালকিনি পৌর এলাকার কাশিমপুর গ্রামে ঘটে এই ঘটনা। এই ঘটনার পর আতঙ্কে আছে অন্য শিশুদের পরিবারও।

নিখোঁজ শিশুর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একটু আনন্দ উপভোগ করতে মা ময়না বেগমের সঙ্গে গত শনিবার সন্ধ্যার পরে প্রতিবেশী হিলু বেপারির ছেলে শিপন বেপারির বিয়ের অনুষ্ঠানে আসে শিশুটি। বান্ধবীদের সঙ্গে নেচে-গেয়ে সময় কাটায় নাছিমা। পাশে নানি আয়মুন নেছার ঘরে শিশুকে ঘুমাতে বলে মা রাত ১১টার দিকে বাড়িতে চলে যায়। এরপর থেকেই নিখোঁজ ৮ বছরের মেয়েটি। 

তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া মাদ্রাসা ছাত্রীর সন্ধানে দিশেহারা পরিবার। বাকরুদ্ধ স্বজনরা। খোঁজ পেতে সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছে। কিন্তু কোনো খোঁজই নেই মেয়েটির। সন্দেহজনক জায়গা ও আশপাশের পুকুর-ডোবায় কয়েক দফায় চালানো হয়েছে তল্লাসি। এই ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন শিশুটির স্বজন ও এলাকাবাসী।

নাছিমার খালা সাবিনা বেগম বলেন, ‘বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে আমার ভাগ্নীকে কে বা কারা নিয়ে গেছে কিংবা কেউ ষড়যন্ত্র করে মেরে ফেলেছে। আমরা এই ঘটনার রহস্য উদঘাটনের দাবি জানাচ্ছি।’

প্রতিবেশী মো. সবুজ বলেন, ‘নিখোঁজ মেয়েটির সন্ধান আমরা চাই। আশপাশের পুকুর-ডোবা ও বাড়িঘর তল্লাশি চালানো হয়েছে, কিন্তু পাওয়া যায়নি। থানায় জিডিও করা হয়েছে, পুলিশ দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

নাছিমার নানী তাসলিমা বেগম বলেন, ‘আমার নাতনি সুস্থ্যভাবে আমাদের বুকে ফিরে আসুক এটাই চাই। আর যারা নিয়ে গেছে তাদের বিচারও চাই।’

এ ব্যাপারে কালকিনি থানার উপপরিদর্শক পল্লব কুমার সরকার জানান, গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়িয়ে শিশুটিকে উদ্ধারে কার্যক্রম চলছে। এর আগে জেলা ও থানার পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসেছেন। পরিবার থেকে কাউকে কোনো সন্দেহও করছে না। বিষয়টি পুলিশ গভীরভাবে তদন্ত করছে।

নোভা

×