ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ফারুক হোসেনের তিনটি ছড়া -বাজার বিবর্তন

প্রকাশিত: ১৯:৫২, ৮ আগস্ট ২০২০

ফারুক হোসেনের তিনটি ছড়া -বাজার বিবর্তন

বাজার ১ ক্রেতা বিক্রেতা ফড়িয়া মিলনস্থল, ইানা বয়সের হাজার লোকের ঢল। পণ্য ও সেবা প্রদর্শনের স্থান, কেনাকাটা হাটবাজার উপাখ্যান। যদি পণ্যের মন মতো হয় মান, যদি ঠিক থাকে প্রয়োজন পরিমাণ, ক্রেতা পণ্যকে ছুঁয়ে দেখবার পর, দরাদরি করে ঠিক করে তার দর। তারপর টাকা নগদে মূল্য শোধ, ভালো যেন হয় বার বার অনুরোধ, চাহিদা যোগান মুখোমুখি এই দুই, ক্রেতার ক্ষমতা ঠিকমতো ছুঁইছুঁই। সনাতন এই আগের বাজারহাট- বসে যায় পেলে এমনকি খোলামাঠ। বাজার ২ বাজার এখন বিশাল শপিংমল, এই বাজারের বিল্ডিং বহুতল, তলায় তলায় পণ্যেও সাজসাজ, চোখ কাড়া সব সাজানো রাঙানো কাজ। ক্রেতা নিজেরাই নিচ্ছে পণ্য তার, আস্তে আস্তে ঝুড়িটা হচ্ছে ভার। পণ্যের গায়ে লেখা আছে তার দর, নেই দরাদরি এক দাম নির্ভর। এক দালানেই কেনাকাটা দিনভর, সবকিছ ুনিয়ে বেরুতেই অতঃপর, কার্ড দিয়ে শোধ যত হয় দাম তার, তাই থাকে এক আলাদা কাউন্টার। শহরে নগরে শপিং মলের দিন, আস্তে আস্তে পুরনো বাজার লীন। বাজার ৩ কম্পিউটারে বাজার দৃশ্যমান, নেই মানুষের মিলনের সেই স্থান। ক্রেতা বিক্রেতা নেই কোন সমাবেশ ওয়েবে সকল কেনাকাটা হয় শেষ। পণ্যের ছবি করা থাকে আপলোড, পণ্যের থাকে নিজ পরিচিতি কোড, ইলেকট্রনিক ঝুড়ি আছে নাম কার্ট ছবি দেখে দেখে হচ্ছে বাজার ঘাট। মাছ গোশ শাক-সবজি ও ওষুধ, সবকিছু খুব বেচাকেনা নিরাপদ, নেটেই মূল্য শোধ করে শেষ দায়, পণ্য পৌঁছে যাবে ঠিক দরজায়। হাট থেকে মল, এখন ই-আউট লেট, মাঠ থেকে ঘর, ঘর থেকে আজ নেট।
×