ছবি: সংগৃহীত
বর্তমান যুক্তরাষ্ট্রের চাকরির বাজার নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদ ও ক্যারিয়ার কোচরা।চাকরির সংখ্যা কমে গেছে, নিয়োগপ্রক্রিয়া স্থবির, অথচ বেকারত্বের হার তুলনামূলকভাবে কম—এ যেন একটি বিপরীত বাস্তবতা।
একজন ক্যারিয়ার কোচ ও পার্সোনাল ফাইনান্স বিশেষজ্ঞ মান্ডি উডরাফ-স্যান্টোস বলেন, “চাকরির বাজার একেবারে ট্র্যাশ অবস্থায় আছে। যাদের বহু বছরের অভিজ্ঞতা আছে, তাদের জন্যও এটা কঠিন। তাহলে সদ্য গ্র্যাজুয়েটদের জন্য তো আরও কঠিন হওয়ার কথা।”
যুক্তরাষ্ট্রে মে মাসে জাতীয় বেকারত্বের হার ছিল মাত্র ৪.২%। ছাঁটাইয়ের হারও ইতিহাসের নিচু পর্যায়ে। কিন্তু নিয়োগপ্রক্রিয়া সবচেয়ে ধীর গতিতে চলছে ২০১৪ সালের আগস্টের পর থেকে (কোভিডের প্রথম দিক বাদে)।
নেভি ফেডারেল ক্রেডিট ইউনিয়নের প্রধান অর্থনীতিবিদ হিদার লং জানান, “এটা এক কঠিন গ্রীষ্ম হতে যাচ্ছে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য। প্রতিষ্ঠানগুলো এখন কেবল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পজিশনগুলোই পূরণ করছে।”
২০২১-২২ সালে যেখানে চাকরির বাজারে ‘গ্রেট রিজাইনেশন’ চলছিল, সেখানে এখন চাকরি ছাড়ার হারও নেমে এসেছে মহামারির আগের চেয়েও নিচে।
ইনডিড হায়ারিং ল্যাবের অর্থনীতিবিদ কোরি স্টাহলে বলেন, “এই ধরনের স্থবিরতা অনির্দিষ্টকাল চলতে পারে না। কোম্পানিগুলো যদি নিয়োগ না বাড়ায়, তাহলে এক পর্যায়ে বর্তমান কর্মীদেরও ছাঁটাই করতে বাধ্য হবে।”
২০২৫ সালে CEO-দের আত্মবিশ্বাসের সূচক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পতন দেখেছে। কনফারেন্স বোর্ডের সমীক্ষা অনুযায়ী, এখন মাত্র ২৮% CEO তাদের কর্মী সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন।
ক্যারিয়ার কোচ উডরাফ-স্যান্টোস পরামর্শ দেন—নেটওয়ার্কিং এবং ব্যক্তিগত সংযোগ গড়ে তোলা এখন সবচেয়ে কার্যকর কৌশল। তিনি বলেন, “নিজেকে অস্বস্তিকর পরিবেশে ফেলতে হবে, নতুন মানুষদের সাথে কথা বলতে হবে, সাহায্য চাইতে হবে।”
একটি চাকরি শুধু টিকে থাকার জন্য নিতে হলেও, নিজেকে পছন্দের পেশার জন্য প্রস্তুত রাখার পরামর্শ দেন তিনি। এর জন্য সনদ কোর্স, চুক্তিভিত্তিক কাজ কিংবা পেশাজীবী সংগঠনে যোগদানের কথা বলেন তিনি।
উডরাফ-স্যান্টোস বলেন, “চাকরির বাজার আগেও খারাপ ছিল, আবারও হবে। কিন্তু আপনি ঠিকই পারবেন।”
মুমু ২
