
ছবি: জনকন্ঠ
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে উদ্ধার হওয়া অর্ধগলিত লাশের পরিচয় সনাক্ত হয়েছে। নিহতের শরীরের পোশাক দেখে শনাক্ত করেছেন পরিবারের লোকজন। নিহত ব্যক্তির নাম মোঃ ফয়েজ আহাম্মদ। তিনি বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর গ্রামের মধ্যপাড়ার আব্দুল মুনাফের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, গত সোমবার (৯ জুন) ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের বাকশীমূল এলাকায় অজ্ঞাত ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করার তিন দিন পর ফেসবুকে ছবি দেখে নিহতের স্ত্রী রোকসানা জান্নাত ও পরিবার পরিচয় শনাক্ত করেছেন।
নিহতের স্ত্রী রোকসানা জান্নাত সাংবাদিকদের জানান, ফয়েজ দীর্ঘদিন ধরে অর্থসংকটে ভুগছিল। এনজিও থেকে চার লাখাধিক টাকা ঋণ নিয়েছিল। সঠিক সময়ে ঋণ পরিশোধ না করা সহ আর্থিক অস্বচ্ছতলতার কারণে হতাশায় ভুগছিল ফয়েজ। কোরবানির ঈদের আগের দিন রাতে খাবার খেয়ে রেললাইনের পাশে একটি ঈদগাহ পাহারা দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সে। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। পরদিন ঈদগাহ কমিটির লোকজনের সঙ্গে আলাপ করলে জানা যায়, সে ঈদগাহ পাহারা দিতে যায়নি। এরপর থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখোঁজি করা হয়। তিন দিন পর ফেসবুকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার ও ছবি দেখে থানায় গিয়ে পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হক সাংবাদিকদের জানান, ওই সময় মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যু সঠিক কারণ নিশ্চিত করা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ট্রেনের সাথে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করতে পারে। এ বিষয়ে বুড়িচং থানায় একটি অপমৃত্যু দায়ের করা হয়েছে।
শহীদ