ছবি: সংগৃহীত।
সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, টেসলা ও এক্স (সাবেক টুইটার)-এর সিইও ইলন মাস্ক নিয়মিত কেটামাইনসহ প্রায় ২০ ধরনের ওষুধ সেবন করেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মাস্ক ভ্রমণের সময়ও সবসময় একটি বড়ির বাক্স সাথে রাখতেন এবং একাধিক উৎস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী তিনি এক্সট্যাসি ও সাইকেডেলিক মাশরুমও গ্রহণ করেছেন।
তবে এই প্রতিবেদন ঘিরে শুরু হওয়া বিতর্কে সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মাস্ক নিজেই। এক্সে (পূর্বে টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে তিনি পরিষ্কার ভাষায় জানান, তিনি বর্তমানে কোনো মাদক সেবন করেন না এবং নিউ ইয়র্ক টাইমস মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।
মাস্ক বলেন, “আমি কয়েক বছর আগে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে কেটামাইন গ্রহণ করেছিলাম। তখন এক্স-এ তা প্রকাশও করেছি। এটি কোনো নতুন খবর নয়। সে সময় আমি এক মানসিক অন্ধকারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম, সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে কেটামাইন সহায়তা করেছিল। তবে তারপর আর এটি ব্যবহার করিনি।”
এদিকে নিউ ইয়র্ক টাইমস তাদের প্রতিবেদনে আরও দাবি করে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বিলিয়নিয়ার উপদেষ্টারা এত বেশি কেটামাইন ব্যবহার করেছেন যে মূত্রাশয়ের জটিলতা পর্যন্ত দেখা দিয়েছিল। যদিও মাস্কের বিরুদ্ধে সরাসরি এমন অভিযোগ করা হয়নি, তবে তার ও অন্যান্য ধনকুবেরদের ওপর নজরদারি চলছে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়।
বিতর্ক আরও বাড়ে, যখন হোয়াইট হাউসে এক বিদায়ী অনুষ্ঠানে মাস্ক কালো চশমা পরে হাজির হন এবং তার চোখে একটি কালশিটে দাগ স্পষ্ট দেখা যায়। একই অনুষ্ঠানে মাস্ক ছিলেন ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই)-এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব ছাড়ার পর বিদায়ী বক্তৃতায়। ট্রাম্পের প্রশাসনে এই বিভাগটির নেতৃত্ব দিয়ে মাস্ক কয়েক হাজার সরকারি কর্মচারী ছাঁটাই ও ব্যয় সংকোচন কার্যক্রমের নেতৃত্ব দেন।
অনুষ্ঠানে মাদক সংক্রান্ত প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার পাশাপাশি মাস্কের চোখে কালশিটে দাগ নতুন করে আলোচনার জন্ম দেয়। যদিও পরে মাস্ক ব্যাখ্যা দেন, এই দাগ তার পাঁচ বছর বয়সী ছেলে ‘এক্স’-এর দেওয়া মজার ঘুষির ফল।
নিউ ইয়র্ক টাইমস তাদের প্রতিবেদনে মাস্কের অতীতে প্রকাশ্যে ধূমপান ও চিত্তাকর্ষক আচরণের উদাহরণ দিয়ে তার মানসিক ভারসাম্য নিয়েও প্রশ্ন তোলে। তবে মাস্ক সব অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন অপপ্রচার’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, “এগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা।”
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, নিউ ইয়র্ক টাইমস, এক্স (পূর্বে টুইটার)
নুসরাত
