ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০১ জুন ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সাত ঘণ্টার মাঝেই ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা, ট্রাম্পের ইশারার অপেক্ষায় ইসরায়েল!

প্রকাশিত: ১৮:৩৮, ৩০ মে ২০২৫; আপডেট: ১৮:৩৯, ৩০ মে ২০২৫

সাত ঘণ্টার মাঝেই ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা, ট্রাম্পের ইশারার অপেক্ষায় ইসরায়েল!

ছ‌বি: সংগৃহীত

মাত্র সাত ঘণ্টার ব্যবধানে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে বড় ধরনের হামলা চালাতে প্রস্তুত ইসরায়েল— এমনটাই জানিয়েছে রুশ বার্তা সংস্থা তাস, মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস-এর বরাতে। হামলার মূল লক্ষ্য থাকবে তেহরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলো। তবে এ ধরনের অভিযানের আগে ইসরায়েলকে পেরোতে হবে একাধিক প্রশাসনিক ধাপ, যার মধ্যে রয়েছে দেশটির মন্ত্রিসভার অনুমতি।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইতোমধ্যেই ইরানে হামলার হুমকি দিয়েছেন। যদিও তিনি নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত সংবাদটির নির্দিষ্ট কোন অংশ সত্য নয়, তা খোলাসা করেননি। তাসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-৩৫আই যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে নাতানসসহ ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালাতে পারে। এই বিমানগুলো ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ফাঁকি দিতে সক্ষম।

এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ প্রতিরক্ষা বাহিনী আইআরজিসি এবং দেশটির সেনাবাহিনী ইতোমধ্যেই সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিয়েছে। তাদের হাতে রয়েছে উন্নত প্রযুক্তির ড্রোন, আধুনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং 'মিসাইল সিটি' নামে পরিচিত চারটি গোপন ঘাঁটি, যেখান থেকে কয়েক লাখ মিসাইল নিক্ষেপ করা সম্ভব।

চলতি বছরের শুরু থেকেই ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মধ্যে তৎপরতা বেড়েছে। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে লাগাম টানতে চায় হোয়াইট হাউস। কিন্তু এনপিটি চুক্তির আওতায় জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থা আইএইএর সঙ্গে থাকা সমঝোতার কারণ দেখিয়ে তেহরান কোনো আপোসে রাজি নয়। এতে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজতে ব্যর্থ হলে ইরানের উপর সামরিক হামলার পরিকল্পনার কথাও এসেছে মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এমনকি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও কয়েকবার ইরানকে হুমকি দিয়েছেন।

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার পারদ আরও চড়েছে, যখন মার্কিন সামরিক বাহিনী দুটি বিমানবাহী রণতরী মোতায়েন করেছে লোহিত সাগরে। একইসঙ্গে ভারত মহাসাগরের দিয়াগো গার্সিয়া দ্বীপে অবস্থান নিয়েছে বি-৫২ বোমারু বিমান। ফলে ইরানকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল এখন মুখোমুখি অবস্থানে।

তবে সামরিক প্রস্তুতি সত্ত্বেও হামলা চালাতে এখনো ইসরায়েল অপেক্ষা করছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সবুজ সংকেতের। হোয়াইট হাউস কূটনৈতিক পথেই সমাধানে আগ্রহী, আর সেজন্যই নেতানিয়াহুকে ফোনালাপে ইরানে হামলা না চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন ট্রাম্প। ফলে একদিকে চূড়ান্ত সামরিক প্রস্তুতি, অন্যদিকে কূটনৈতিক টানাপোড়েন— এই দ্বন্দ্বেই আটকে আছে ইসরায়েলের সম্ভাব্য অভিযান।

ভিডিও দেখুন: https://www.youtube.com/watch?v=u1nhs2jS0Lw

এম.কে.

আরো পড়ুন  

×