ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে রাশিয়ার শর্ত

ন্যাটোর সম্প্রসারণ বন্ধের দাবি পুতিনের

প্রকাশিত: ২১:১১, ২৯ মে ২০২৫

ন্যাটোর সম্প্রসারণ বন্ধের দাবি পুতিনের

ভ্লাদিমির পুতিন

ইউক্রেনে যুদ্ধ থামানোর বিনিময়ে পশ্চিমা বিশ্বের কাছ থেকে পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটোর সম্প্রসারণ বন্ধের লিখিত প্রতিশ্রুতি ও কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের শর্ত দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রয়টার্সকে বিষয়টি জানিয়েছেন আলোচনার সঙ্গে সম্পৃক্ত তিন রুশ সূত্র। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাম্প্রতিক দিনগুলোতে পুতিনের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করে বলছেন, কিয়েভের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অনাগ্রহ দেখিয়ে আগুন নিয়ে খেলছেন রুশ নেতা। গত সপ্তাহে ট্রাম্পের সঙ্গে দুই ঘণ্টার বেশি সময় কথোপকথনের পর পুতিন জানান, ইউক্রেনের সঙ্গে একটি শান্তি সমঝোতা নিয়ে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন তিনি। রাশিয়া বর্তমানে সেই সমঝোতার খসড়া তৈরি করছে। তবে এর জন্য কত সময় লাগবে তা বলা সম্ভব নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। খবর আরটির।
তিনটি সূত্র জানায়- ইউক্রেন, জর্জিয়া ও মলদোভাকে ন্যাটো সদস্যপদ থেকে বাদ দেওয়ার নিশ্চয়তা চাচ্ছেন পুতিন। পাশাপাশি ইউক্রেনকে নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ, রুশ ভাষাভাষীদের সুরক্ষা এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কিছু অংশ প্রত্যাহারসহ রাশিয়ার জব্দকৃত সার্বভৌম সম্পদের বিষয়ে নিষ্পত্তি চান তিনি। সূত্রগুলোর একজন বলেন, পুতিন শান্তি চান কিন্তু যে কোনো মূল্যে নয়। ওই সূত্রের মতে, নিজের শর্তে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব না হলে ইউরোপ এবং কিয়েভকে সামরিক অগ্রগতির মাধ্যমে দেখাতে চান পুতিন যে ভবিষ্যতের শান্তি হবে আরও কঠিন ও ব্যয়বহুল। ক্রেমলিন এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানালেও আগেও বহুবার বলেছে, ইউক্রেন যুদ্ধের মূলে রয়েছে ন্যাটো সম্প্রসারণ ও পশ্চিমাদের সহযোগিতা। অন্যদিকে ইউক্রেন জানিয়ে এসেছে, ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার আকাক্সক্ষা রাশিয়া ঠেকাতে পারবে না। দেশটি পশ্চিমা নিরাপত্তা গ্যারান্টি ছাড়া রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভবিষ্যৎ আক্রমণ ঠেকাতে পারবে না বলেও মত দিয়েছে কিয়েভ। ন্যাটোও পূর্বে বলেছে, তাদের ওপেন ডোর পলিসি রাশিয়ার দাবির জন্য বন্ধ করা হবে না। জোটটি এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আক্রমণ চালায় রাশিয়া। দনবাসে আট বছরের সংঘর্ষের পর ওই যুদ্ধ শুরু হয়। রাশিয়া বর্তমানে ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে। যদিও এই যুদ্ধ দুই দেশের জন্যই রক্তক্ষয়ী ও ব্যয়সাপেক্ষ হয়ে উঠেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে রয়টার্স জানিয়েছিল, যুদ্ধকালীন রুশ অর্থনীতিতে শ্রমঘাটতি ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে উচ্চ সুদের হারসহ নানা চাপ তৈরি হয়েছে। 

প্যানেল

×