ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

গোপনে গাজাবাসীকে লিবিয়ায় পাঠানোর মার্কিন পরিকল্পনা ফাঁস!

প্রকাশিত: ১১:৫৮, ১৮ মে ২০২৫

গোপনে গাজাবাসীকে লিবিয়ায় পাঠানোর মার্কিন পরিকল্পনা ফাঁস!

ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনিদের যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়ায় পাঠানোর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ নয় পরিকল্পনা ফাঁস হওয়ায় শুরু হয়েছে তোলপাড়। গাজার বাসিন্দাদের জন্মভূমি থেকে বিতাড়িত করার নীল নকশা হামাস ইতিমধ্যেই প্রত্যাখ্যান করেছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত এবং অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত লিবিয়ায় ফিলিস্তিনিদের পাঠানোর সিদ্ধান্তের ব্যাপক সমালোচনা করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।

দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে গাজায় নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে প্রাণ বাঁচাতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। কিন্তু যেখানে গিয়েছেন সেখানেই ইসরাইলি বর্বরতার শিকার হয়েছেন তারা। তবুও গাজার বাইরে গুটি কয়েকজন ফিলিস্তিনি ছাড়া আর কেউই জন্মভূমি ত্যাগ করেননি।

 

 

গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের বিতাড়িত করে সেখানে রিসোর্ট তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে ট্রাম্প সরকারের ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। যদিও ট্রাম্প তখন কিছুটা সরে আসার কথা বলেছিলেন, গোপনে গাজাবাসীকে উৎখাতের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে মার্কিন প্রশাসন।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এনবিসি জানিয়েছে, লিবিয়ায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে পাঠানোর জন্য ট্রাম্প প্রশাসন শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। ফিলিস্তিনিদের গ্রহণের বিনিময়ে লিবিয়ার জব্দকৃত বিপুল অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রস্তাবও দিচ্ছে ওয়াশিংটন। এসব পরিকল্পনা সম্পর্কে ইসরাইলকেও অবগত করা হয়েছে।

গত ১৪ বছর ধরে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত লিবিয়া যেখানে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী ক্ষমতার জন্য লড়াই করছে, সেখানে ফিলিস্তিনিদের পাঠানোর সিদ্ধান্তকে মানবাধিকার সংগঠনগুলো কঠোর সমালোচনা করেছে। হামাস এই ধরনের যেকোনো পদক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং দাবি করেছে গাজাবাসীর ভাগ্য নির্ধারণের অধিকার শুধুমাত্র ফিলিস্তিনিদের। মাতৃভূমি, পরিবার ও সন্তানের ভবিষ্যৎ রক্ষায় তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং যেকোনো ত্যাগের জন্য প্রস্তুত। গাজা ও গাজার বাসিন্দাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার একমাত্র অধিকার ফিলিস্তিনিদের।

 

 

এদিকে, ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে লিবিয়ায় স্থানান্তর করা আদৌ সম্ভব কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী বিমানও এত মানুষের পরিবহন করতে পারবে না। গাজায় বিমানবন্দর না থাকায় স্থলপথে মিশরের মধ্য দিয়ে প্রায় ১৩০০ মাইল পাড়ি দিয়ে লিবিয়ায় যেতে হবে ফিলিস্তিনিদের। ১০ লাখ মানুষকে স্থানান্তরের জন্য প্রায় ১১৭৩টি ফ্লাইটের প্রয়োজন পড়বে, যা বাস্তবসম্মত নয় বলে মনে করা হচ্ছে।

আঁখি

×