
ছবিঃ সংগৃহীত
রাত তখন আড়াইটা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর লাল ফোনে আসে একটি জরুরি কল। ফোনের ওপাশে ছিলেন দেশটির প্রভাবশালী সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল আসিম মুনির। ঘুম থেকে জেগে উঠেই পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফকে যুদ্ধ শুরুর বার্তা দেন সেনাপ্রধান। জানান, পাকিস্তানকে লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে ভারত। এর জবাবে ভারতে হামলার অনুমতি চান তিনি।
গত সপ্তাহে ভারত-পাকিস্তানের রুদ্ধশ্বাস সংঘাতের নাটকীয় প্রথম কয়েক ঘণ্টার তথ্য সামনে এসেছে। রবিবার দুই দেশের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। নতুন করে সমঝোতা না হলে চিরবৈরী এই দুই দেশের সংঘাত আবারও শুরু হতে পারে।
পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো অপারেশন "সিদূর"-এর প্রথম কয়েক ঘণ্টার টানটান উত্তেজনার চিত্র তুলে ধরেছে। সেখানে বলা হচ্ছে, চলতি মাসের ৭ তারিখ রাত আড়াই টায় সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের ফোনে ঘুম ভাঙে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের। তিনি জানান, পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারত ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর দাবি, ইসলামাবাদের ওই বক্তব্যে পাকিস্তানের নূর খান বিমানঘাঁটিতে মিসাইল আছড়ে পড়ার কথা স্বীকার করেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে পেহেলগামের সন্ত্রাসী হামলার পর থেকেই ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক স্মরণকালের সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে পৌঁছে।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে রাত আড়াইটা নাগাদ পাকিস্তানের পাঞ্জাব, কাশ্মীরসহ একাধিক স্থানে মিসাইল ছুড়ে ভারত। এই বার্তা দিয়েই প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলার অনুমতি চান সেনাপ্রধান। ফোনেই সেই অনুমতি দেন শাহবাজ শরীফ। আর এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভারতকে জবাব দিতে নামে পাকিস্তানি বাহিনী।
ইমরান