
ছবিঃ সংগৃহীত
এবার অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে নতুন করে বিরোধে জড়িয়েছে ভারত ও চীন। রাজ্যটির ২৭টি অঞ্চলের চীনা নামকরণ ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে। অরুণাচল ভারতীয় ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ দাবি করে বেইজিং-এর পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে নয়া দিল্লি। জবাবে, রাজ্যটিকে নিজেদের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল আখ্যা দিয়ে পুনঃনামকরণের পূর্ণ অধিকার রয়েছে বলে দাবি করেছে বেইজিং।
ভারত এবং চীনের মধ্যে ৪,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ যৌথ সীমান্ত রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে লাদাখ, সিক্কিম এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অরুণাচল প্রদেশ। এই সীমান্ত অঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা বিরোধপূর্ণ, এবং প্রায়ই সংঘাতের খবর শোনা যায়। অরুণাচল প্রদেশ আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে। সম্প্রতি, চীনা ভাষায় 'জাংনাং' নামে পরিচিত রাজ্যটির ২৭টি স্থানের নতুন নামকরণ করেছে বেইজিং। এর মধ্যে রয়েছে ১৫টি পাহাড়, ৫টি আবাসিক এলাকা, ৪টি গিরিপথ, ২টি নদী এবং একটি রথ। এসব স্থানের নামকরণের পাশাপাশি, চীনের মানচিত্রে অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ অনুযায়ী অঞ্চলের অবস্থানও প্রকাশ করা হয়েছে।
বেইজিং-এর এমন পদক্ষেপে প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। নয়া দিল্লি এটি অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন আখ্যা দিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে। ভারত দাবি করেছে, অরুণাচল প্রদেশ তাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং পুনঃনামকরণ করলেই এর বাস্তবতা পরিবর্তিত হবে না। তবে, দিল্লির দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছে বেইজিং। চীন জানিয়েছে, 'জাংনাং' তাদের ভূখণ্ড এবং এই অঞ্চলের কিছু স্থানের মানসম্মত নামকরণ তাদের সার্বভৌম অধিকার। পশ্চিম ও দক্ষিণ সীমান্তে অবস্থিত অরুণাচল প্রদেশ চীন ঐতিহাসিকভাবে নিজেদের অংশ হিসেবে মনে করে। চীন দাবি করে যে, এটি তিব্বতের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের অংশ।
বেইজিং আগেও অরুণাচলের বেশ কিছু এলাকার পুনঃনামকরণ করেছে। ২০২৪ সালে ৩০টি, ২০২৩ সালে ১১টি, ২০২১ সালে ১৫টি এবং ২০১৭ সালে ৬টি এলাকায় চীনা নামকরণ করা হয়েছে। সম্প্রতি, ভারত নিয়ন্ত্রিত লাদাখে নতুন দুটি প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরির ঘোষণা দিয়েছে সিজিনপিং প্রশাসন।
মারিয়া