
ছবি :সংগৃহীত
সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে পৌঁছেছেন। মঙ্গলবার (১৩ মে) তিনি দেশটিতে পৌঁছান। বুধবার (১৪ মে) তার সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসার পর এটিই প্রথম গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সফর। সৌদি আরব ছাড়াও তিনি কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন বলে জানা গেছে।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্সি দপ্তর এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে বলে বার্তাসংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, উপসাগরীয় তিনটি দেশে সফরের অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বর্তমানে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন।
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা এর আগে জানান, সৌদি সফরের সময় ট্রাম্প সিরীয় প্রেসিডেন্ট আল-শারার সঙ্গে সাক্ষাতে সম্মত হয়েছেন।
২০২৫ সালে রিয়াদে সৌদি-মার্কিন বিনিয়োগ ফোরামে ট্রাম্প বলেন, “আমি সিরিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিষ্ঠুর ও ধ্বংসাত্মক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেব, যাতে দেশটি আবার ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পায়।”
সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেশটিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন (ট্রানজিশনাল) প্রশাসন গঠিত হয়। প্রেসিডেন্ট শারার নেতৃত্বে এই নতুন প্রশাসন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতা চেয়ে আসছে, যাতে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি পুনর্গঠনে সহায়তা পায়।
নতুন প্রশাসনের মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো এখন পুনর্গঠনের পথে প্রধান অন্তরায়। যদিও অতীতে কিছু নির্দিষ্ট খাতে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়েছিল, তবে এটিই হতে যাচ্ছে ২০১১ সালের পর প্রথম কোনও পূর্ণাঙ্গ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার।
প্রসঙ্গত, সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ প্রায় ২৫ বছর সিরিয়া শাসন করেন এবং ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে রাশিয়ায় পালিয়ে যান। এর মধ্য দিয়ে ১৯৬৩ সাল থেকে শুরু হওয়া বাথ পার্টির দীর্ঘ শাসনের অবসান ঘটে।
বর্তমানে সিরিয়ার নতুন নেতৃত্ব আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও অর্থনৈতিক সহায়তা পাওয়ার জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। ট্রাম্পের সঙ্গে এই বৈঠকটি সেই প্রক্রিয়ারই একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
সা/ই