
ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলি বাহিনীর টানা হামলায় আবারও রক্তাক্ত হলো গাজা। সোমবার একদিনেই কমপক্ষে ৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই হামলা শুরু হয় মার্কিন-ইসরায়েলি দ্বৈত নাগরিক এডান আলেকজান্ডারকে হামাস মুক্তি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আবারও গাজার ওপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে বিশ্বের শীর্ষ ক্ষুধা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সতর্ক করে বলেছে—গাজার সমগ্র জনগোষ্ঠী এখন দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের আগে যুদ্ধ সম্প্রসারণের পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়। তবে নেতানিয়াহু কাতারে শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী দল পাঠানোর কথাও জানিয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর ২০২৩ থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি অভিযানে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫২,৮৬২ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন ১,১৯,৬৪৮ জনের বেশি। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানায়, ধ্বংসস্তুপের নিচে হাজারো মানুষ চাপা পড়ে থাকায় প্রকৃত মৃতের সংখ্যা ৬১,৭০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
অন্যদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণে ইসরায়েলে নিহত হন প্রায় ১,১৩৯ জন এবং বন্দি হন আরও ২০০ জনের বেশি।
গাজার দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন ত্রাণ সংস্থা মার্সি কর্পস-এর প্রতিনিধি কেট ফিলিপস-বারাসো বলেন, যেসব ত্রাণসামগ্রী গাজার ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য পাঠানো হচ্ছে, তা সীমান্তেই আটকে আছে। এ এক ভয়াবহ, হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি।
জাতিসংঘ মুখপাত্র স্তেফানে দুজারিক বলেছেন, গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর একমাত্র চাবি ইসরায়েলের হাতে। আমরা প্রতিনিয়ত তাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি, যেন অবরোধ তুলে ত্রাণের গেট খুলে দেওয়া হয়।
এদিকে, ত্রাণের জন্য গেটের বাইরে ভিড় জমানো মানুষের ভেতর দেখা দিয়েছে হাহাকার, ক্ষোভ ও অসহায়ত্ব। পরিস্থিতি অনিশ্চিত, আর মানবিক সংকট ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।
এসএফ