
শনিবার দিবাগত রাতে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার চলমান উত্তেজনা সামরিক সংঘাতে রূপ নেয়। পাকিস্তান সময় ভোর রাত চারটা ত্রিশ মিনিটে দেশটির সেনাঘাটি থেকে ছোড়া হয় প্রথম বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, যার লক্ষ্য ছিল ভারতের সামরিক স্থাপনা। এই হামলার মধ্য দিয়েই পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী তাদের এই অভিযানের নাম দিয়েছে “অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস”, যা কোরআনের সূরা আস-সফের চতুর্থ আয়াত থেকে নেওয়া। আরবি এই শব্দগুচ্ছের অর্থ ‘সুদৃঢ় প্রাচীরের মতো শক্ত ও সংগঠিত লাইন’, যেখানে বলা হয়েছে—যারা আল্লাহর পথে সুদৃঢ় প্রাচীরের মতো যুদ্ধ করে, আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন।
রাত সাড়ে তিনটায় পাকিস্তান সামরিক মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার আহমেদ শহীদ চৌধুরী জানান, ভারত প্রথমে পাকিস্তানের তিনটি বিমানঘাঁটিতে আক্রমণ চালায়। এই বিমানঘাঁটিগুলো হলো রাওয়ালপিন্ডির নূর খান, চকওয়ালের মোরাইদ ও সরকোটের রফিকী বিমানঘাঁটি। এসব হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ভোরে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে। প্রথম মিসাইলটির নাম ছিল “ফাতা-১” যার পাল্লা ১২০ কিলোমিটার। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জিও নিউজকে জানিয়েছেন, এই অভিযানে ভারতের ১১টি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। এর মধ্যে পাঠানকোট, উধমপুর, গুজরাট, রাজস্থানের বিমানঘাঁটিসহ ভারতের সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল ব্রহ্মসের একটি গুদাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
পাকিস্তানের বিমানবাহিনী দাবি করেছে, ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের আদমপুরে মোতায়েন করা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ ধ্বংস করা হয়েছে। এই হামলায় পাকিস্তানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি যুদ্ধবিমান জেএফ-৭ ব্যবহৃত হয়। আলজাজিরার সংবাদদাতা ওসামা বিন জাভেদ জানিয়েছেন, পাকিস্তান এই হামলাগুলো চালায় ফজরের নামাজের পরপরই। অপরদিকে, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগরে ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে দুটি বড় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় এবং ২০ মিনিট পর আরও তিনটি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। শহরজুড়ে তখন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল। বিস্ফোরণগুলোর বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
ভারতের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি। তবে ভারতীয় সামরিক বাহিনী শিগগিরই গণমাধ্যমকে ব্রিফ করবে বলে জানানো হয়েছে। এই ঘটনার পেছনে প্রেক্ষাপট হিসেবে বলা যায়, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন ভারতীয় পর্যটক নিহত হন। ভারত এর জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে এবং এর জবাবে পাকিস্তানে হামলা চালায়। জবাবে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি সামরিক বাহিনীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুমোদন দেয়। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে, যেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে এবং যুদ্ধ এখন বাস্তবতায় পরিণত হয়েছে।
আঁখি