
ছবি : সংগৃহীত
কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক হামলার পর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির নিরাপত্তা নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়ার একদিনের মধ্যেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বোর্ড (NSA Board) পুনর্গঠন করা হয়েছে।
সাত বছর পর পুনরায় গঠিত এই বোর্ডের প্রধান করা হয়েছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর সাবেক প্রধান অলোক জোশিকে। নতুন এই উপদেষ্টা বোর্ডে রাখা হয়েছে বিমান, নৌ এবং স্থলবাহিনীর সাবেক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের। এছাড়াও ঠাঁই পেয়েছেন দুই জন প্রাক্তন পুলিশ কর্মকর্তা ও একজন অভিজ্ঞ সাবেক কূটনীতিক। বোর্ডটির মূল দায়িত্ব হলো দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলকে সুপারিশ প্রদান করা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই এই কাউন্সিলের শীর্ষে রয়েছেন এবং অজিত দোভাল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন।
এই ঘটনার জেরে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক অঙ্গনেও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেছেন ভারত ও পাকিস্তানের শীর্ষ কূটনীতিকরা। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শংকর জানিয়েছেন, গুতেরেস নির্দ্বিধায় পেহেলগাম হামলার নিন্দা করেছেন।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ জাতিসংঘকে আহ্বান জানিয়েছেন ভারতকে “থামাতে”। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার এক বিবৃতিতে বলেন, “পাকিস্তান প্রথমে আক্রমণ করবে না, তবে প্রতিক্রিয়া জানাতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।”
ভারত সরকার এই ঘটনার পর প্রায় সব পাকিস্তানি নাগরিককে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। এর ফলে আত্মারি সীমান্তে মানুষের ভিড় বেড়েছে। সীমান্ত জুড়ে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। একই সঙ্গে, নিষিদ্ধ দুই কাশ্মীরি সংগঠনের বিষয়ে জনগণকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
এই প্রেক্ষাপটে স্পষ্ট যে, পেহেলগাম হামলা ভারতের নিরাপত্তা কৌশলে বড় পরিবর্তন এনে দিয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রেখে দ্রুত ও কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে দিল্লি।
আঁখি