
ছবি: সংগৃহীত
নারী শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং তাদের উপর চলমান বৈষম্য দূর করতে ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি। এ নীতি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই একটি শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নূরুন্নিসা সিদ্দীকা।
মে দিবস উপলক্ষে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, ১৮৮৬ সালের ১ মে শিকাগো শহরে শ্রমিকদের আত্মত্যাগের যে ইতিহাস রচিত হয়েছিল, তা আজও বিশ্বজুড়ে শ্রমিক আন্দোলনের অনুপ্রেরণা হয়ে আছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে শ্রমিকদের অধিকার আজও পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
অধ্যক্ষ নূরুন্নিসা আরও বলেন, দেশের গার্মেন্টস সেক্টরে নারী শ্রমিকদের সংখ্যা দিন দিন বাড়লেও, তারা এখনও ন্যায্য বেতন, সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ এবং সামাজিক মর্যাদা থেকে বঞ্চিত। এমন বৈষম্য শ্রমিকদের আত্মমর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করছে।
তিনি আরও বলেন, মালিক-শ্রমিক দ্বন্দ্ব আমাদের শিল্পখাতে একটি বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কখনো শ্রমিকদের ছাঁটাই, আবার কখনো শ্রমিকদের আন্দোলনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ—এসবই সমাজের জন্য ক্ষতিকর। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে ইসলামী শ্রমনীতিই একমাত্র সমাধান হতে পারে। ইসলাম শ্রমিকের অধিকার নিয়ে অত্যন্ত স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে। রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগেই তার প্রাপ্য মজুরি পরিশোধ করো।
বিবৃতির শেষভাগে তিনি বলেন, শ্রমজীবী সমাজকে ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। এই চেতনাতেই মে দিবস পালিত হওয়া উচিত।
এসএফ