ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

রুশ বিমান বাহিনীর পাইলটদের পুতিন

ন্যাটোভুক্ত দেশে আক্রমণ নয়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:০১, ২৮ মার্চ ২০২৪

ন্যাটোভুক্ত দেশে আক্রমণ নয়

ভøাদিমির পুতিন

রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলেছেন, ন্যাটোভুক্ত কোনো দেশে আক্রমণ করবে না রাশিয়া। তবে পশ্চিমারা ইউক্রেনে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চালানোর জন্য সেনা সরবরাহ করলে সে বিমান অবশ্যই গুলি করে ধ্বংস করবে রুশ বাহিনী। খবর আরটির।
বৃহস্পতিবার রাশিয়ান বিমান বাহিনীর পাইলটদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে পুতিন বলেন, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো পূর্ব দিকে রাশিয়াকে লক্ষ্য করে প্রসারিত হয়েছিল।

তবে ন্যাটোর কোনো রাষ্ট্রে আক্রমণ করার কোনো পরিকল্পনা ছিল না মস্কোর। পুতিন বলেন, এই রাষ্ট্রগুলোতে কোনো প্রকার আক্রণের উদ্দেশ্য আমাদের নেই। পোল্যান্ড, বাল্টিক রাষ্ট্রগুলো এবং চেকদেরও ভয় দেখানো হচ্ছে যে, আমরা এসব দেশে আক্রমণ করব। এই ধারণাটি সম্পূর্ণ বাজে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে অর্থ, অস্ত্র এবং বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সমর্থন করছে বলে অভিযোগ করেছিল রাশিয়া। দেশটি এখন বলছে, ওয়াশিংটনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক সম্ভবত কখনো খারাপ হয়নি। 

ইউক্রেনে পশ্চিমাদের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পাঠানোর সম্পর্কে জানতে চাইলে পুতিন বলেন, এ ধরনের বিমান ইউক্রেনের পরিস্থিতিতে কোনো পরিবর্তন আনবে না। 
পুতিন বলেন, তারা যদি এফ-১৬ সরবরাহ করে এবং দৃশ্যত পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেয়, তবে এটি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন করবে না। আমরা বরং বিমানটিকে ধ্বংস করব ঠিক যেভাবে আমরা ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া যান এবং একাধিক রকেট লাঞ্চারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম ধ্বংস করেছি।

পুতিন বলেছেন, এফ-১৬ পারমাণবিক অস্ত্রও বহন করতে পারে। তিনি বলেছিলেন, তারা যদি সেগুলো তৃতীয় দেশের বিমানঘাঁটি থেকে ব্যবহার করে, তবে সেগুলো যেখানেই অবস্থান করুক না কেন তা অবশ্যই আমাদের বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে। এর আগের দিন, ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছিলেন, আগামী মাসগুলোর মধ্যেই এফ-১৬ বিমান ইউক্রেনে পৌঁছানো উচিত। 
তার ওই মন্তব্যের পর এমন মন্তব্য করেছেন পুতিন। রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে। তবে বেশ কয়েক মাস ধরেই এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চেয়ে আসছে ইউক্রেন। বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, নরওয়ে এবং নেদারল্যান্ডসসহ আরও কিছু দেশ ইউক্রেনকে এফ-১৬ সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। দেশগুলোর একটি জোট সেসব বিমান ব্যবহারের জন্য ইউক্রেনীয় পাইলটদের প্রশিক্ষণে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া।
১৯৬২ সালের কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর থেকে পশ্চিমের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের গভীরতম সংকটের সূত্রপাত করেছে ইউক্রেন-রাশিয়ার এই যুদ্ধ।

×