বেঙ্গল শিল্পালয়ে অতিথিদের সঙ্গে কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার জয়ী চার তরুণ
দেশের নবীন কবি ও লেখকদের সাহিত্যচর্চাকে অনুপ্রাণিত ও গতিময় করতে ২০০৮ সাল থেকে প্রবর্তিত হয় আইএফআইসি ব্যাংক নিবেদিত কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার। সেই স্রোতধারায় শনিবার প্রদান করা হলো ২০২৩ সালের কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার। কথাসাহিত্য, প্রবন্ধ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষণা ও সাহিত্য এবং শিশু কিশোর-বিষয়ক সাহিত্যে অবদানের জন্য চার তরুণ কথাশিল্পী পেয়েছেন এই পুরস্কার। কথাসাহিত্যে ‘ভাতের কেচ্ছা’ গ্রন্থের জন্য কামরুন্নাহার দিপা, প্রবন্ধ-গবেষণায় ‘জনসংস্কৃতির রূপ ও রূপান্তর’ গ্রন্থের জন্য শারফিন শাহ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষণা ও সাহিত্যে ‘ফাড়াবাড়ি হাট গণহত্যা-আদর্শ বাজার গণহত্যা’ গ্রন্থের জন্য ফারজানা হক এবং শিশু-কিশোর সাহিত্যে ‘আলোয় রাঙা ভোর’ গ্রন্থের জন্য রহমান বর্ণিল পেয়েছেন এই পুরস্কার। ধানমন্ডির বেঙ্গল শিল্পালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে লেখকদের তাদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। পুরস্কারজয়ীদের প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা, স্মারক, সনদপত্র ও মানপত্র প্রদান করেন অনুষ্ঠানের অতিথিরা। কবিতা শাখায় মানসম্মত বই না পাওয়ায় এ বছর কোনো তরুণ কবিকে পুরস্কার দেওয়া হয়নি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন সাহিত্য পত্রিকা কালি ও কলম সম্পাদকম-লীর সভাপতি ইমিরেটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন কালি ও কলম সম্পাদক সুব্রত বড়ুয়া, কালি ও কলম প্রকাশক এবং বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের, আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালক ও সিইও শাহ আলম সারওয়ার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী।
কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, সাহিত্যের পথচলা অনিঃশেষ। আমি বলি এই যাত্রা অতৃপ্ত যাত্রা। পুরস্কার পাওয়ার পরে এই স্বীকৃতি আগামী দিনের পথ চলার সঞ্জীবনী সুধা হিসেবে ভালো লেখার প্রণোদনা দেয়। তবে লেখকের সামগ্রিক লেখালেখি পাঠকের জন্য। এখন বিশ্বায়নের যুগ। অনুবাদের মাধ্যমে সারাবিশ্বের পাঠকের কাছে পৌঁছা সম্ভব। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের পর বাংলাসাহিত্যের কোনো লেখক সেভাবে বিশ্বদরবারে পৌঁছতে পারেননি। বাংলাসাহিত্যের বৈশ্বিক অবস্থান লেখকদের অনুধাবন করতে হবে। অনুবাদ নিয়ে যেকোনো উদ্যোগে সরকার সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। সরকার চায়, বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে বৈশ্বিক সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটুক। নতুন লেখকরা ঐশ্বর্যময় সৃষ্টি দিয়ে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করবে এবং পাঠকদের উজ্জীবিত করবে। অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, বেঙ্গল ফাউন্ডেশন সাহিত্য ও শিল্পকলার মাধ্যমে তারুণ্যকে উজ্জীবিত করার পাশাপাশি শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সব বয়সী মানুষের মনন গঠনে ভূূমিকা রাখছে।
এর আগে পুরস্কারপ্রাপ্তরা লেখকরা পুরস্কারপ্রাপ্তির অনুভূতি ব্যক্ত করেন। পুরস্কার প্রদানের আনুষ্ঠানিকতা সংগীত পরিবেশন করেন দেশবরেণ্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।