ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রযুক্তি খাতে নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ২৫ জানুয়ারি ২০১৯

প্রযুক্তি খাতে নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান

ডাভোস সম্মেলনে যোগ দেয়া জাপান, দক্ষিণ আফ্রিকা, চীন ও জার্মানি প্রযুক্তি বিষয়ক বৈশ্বিক নীতিমালার ব্যাপারে আহ্বান জানিয়েছেন। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে থাকা প্রযুক্তি খাত শিল্পটির বৃহত্তর তত্ত্বাবধানের বিষয়টি সম্পর্কে আন্তর্জাতিক স্বার্থের কথাটি বিবেচনা করে স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়া হলো। -স্ট্রেইট টাইমস জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে বক্তব্য দানকালে বলেন, তার দেশ এ বছর গ্রুপ অব ২০ ন্যাশন্সের চেয়ারম্যান হিসেবে একে ব্যবহার করবে। যাতে নতুন আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। এতে ডেটা ব্যবহারের বিষয়টি তদারকি করা যাবে। এ বছরের জুন মাসে জি-২০ গ্রুপটির সদস্য দেশগুলোর প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীরা যখন ওসাকা শহরের সম্মেলনে উপস্থিত হবেন তখন ডেটা পরিচালনাকে থিম হিসেবে উপস্থাপন করা হবে। এর বৈশিষ্ট্য হবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বাণিজ্য ব্যবস্থাকে বিস্তৃত করতে ডেটা ব্যবহারের নিয়মটি অনুসরণ করা। তিনি বলেন, আমি মনে করি এ জন্যই ওসাকা জি-২০ সমেলনকে মানুষ দীর্ঘদিন ধরে মনে রাখবে। এই সম্মেলনটিই বিশ্বব্যাপী ডেটা পরিচালনা শুরু করবে। আবের এই প্রস্তাবটি ফোরামে অংশ নেয়া অন্যান্য বিশ্ব নেতার বক্তব্যেও প্রতিফলিত হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা অগ্রাধিকার হিসেবে বিশেষ করে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে বলেন, আগামী মাসে যখন ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় আফ্রিকান ইউনিয়ন নেতারা বৈঠকে বসবেন তখন প্রযুক্তি খাতে বৃহত্তর তদারকির বিষয়টি অবশ্যই একটি এজেন্ডা হিসেবে উত্থাপিত হবে। যখন প্রযুক্তির কথা আসে তখন আমি এমন একটি কমিটি গঠন করার বিষয়কে সমর্থন করব যারা সম্পূর্ণ পরিসরগুলোতে মান নির্ধারণ করবে। জার্মান চ্যান্সেলর এ্যাঞ্জেলা মেরকেল তার বক্তব্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের জন্য একটি কমন ডিজিটাল মার্কেট তৈরির আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ডেটা ব্যবহারে আন্তর্জাতিক তদারকির প্রয়োজন রয়েছে। এটি সমগ্র প্রযুক্তি খাতে প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের জন্য বর্তমান গতির ভয়কে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করবে। চীনা ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং কিশানও প্রযুক্তি খাতে আন্তর্জাতিক সমন্বয়ের প্রয়োজন রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি ব্যক্তিগত গোপনীয়তার বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। ওয়াং জোর দিয়ে বলেন যে, প্রতিটি দেশের নিজস্ব কিছু নীতি নির্ধারণও স্বাধীনভাবে হওয়া উচিত। যদিও চীনা সরকারের সঙ্গে সে দেশের প্রযুক্তি খাতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
×