
ছবি: সংগৃহীত
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের তীব্রতা বৃদ্ধির মাঝে ইসরায়েল দাবি করেছে যে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা ফুরিয়ে আসছে। তবে ইরান এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি এবং তাদের হামলা অব্যাহত রাখার হুমকি দিয়েছে।
সম্প্রতি ইসরায়েলের সামরিক কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, ইরান তাদের সাম্প্রতিক পাল্টা হামলায় যে বিপুল সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করেছে, তাতে তাদের মজুদ ফুরিয়ে আসছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, ইরান তাদের দূরপাল্লার ও নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্রের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এই হামলায় ব্যবহার করেছে।
ইসরায়েলের এই দাবির পেছনে যুক্তি হলো, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন উৎপাদন সক্ষমতা সীমিত। চলমান নিষেধাজ্ঞা এবং উৎপাদন প্রক্রিয়ার জটিলতার কারণে তারা দ্রুত এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে না। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ধারাবাহিক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, যার একটি উদ্দেশ্য হলো ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন সক্ষমতা ধ্বংস করা।
অন্যদিকে, ইরান আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেনি। তবে তারা বারবার হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে যে, ইসরায়েল যদি হামলা অব্যাহত রাখে, তাহলে তারা আরও কঠোর এবং শক্তিশালী জবাব দেবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েলের এই দাবি একটি মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ কৌশলও হতে পারে, যার লক্ষ্য ইরানের মনোবল দুর্বল করা এবং তাদের আঞ্চলিক মিত্রদের মধ্যে দ্বিধা তৈরি করা। তবে, যদি এই দাবি সত্য হয়, তবে তা ইরানের সামরিক সক্ষমতার জন্য একটি বড় ধাক্কা হবে এবং সংঘাতের ভবিষ্যৎ গতিপথকে প্রভাবিত করতে পারে।
ইরানের কাছে ঠিক কত সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ আছে, তা একটি গোপনীয় তথ্য এবং উভয় পক্ষের দাবির সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করা কঠিন। তবে চলমান সংঘাতের ফলে উভয় দেশের সামরিক সম্পদের ওপর যে চাপ পড়ছে, তা স্পষ্ট। তথ্যসূত্র: ওয়ার ফ্যাক্টস
সাব্বির