
ছবি আলজাজিরা
সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সম্প্রতি স্বীকার করেছেন যে, ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধাপরাধ করেছে। তবে এই বক্তব্য তিনি দিয়েছেন অফিস ছেড়ে দেওয়ার পর—যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারকর্মীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
ওয়াশিংটন-ভিত্তিক থিংক-ট্যাঙ্ক ও অ্যাডভোকেসি গ্রুপ ‘ডেমোক্রেসি ফর দ্য আরব ওয়ার্ল্ড নাউ’ (DAWN)-এর অ্যাডভোকেসি পরিচালক রায়েদ জারর বলেন, “এই স্বীকারোক্তি চরমভাবে নিন্দনীয়। এটা আশ্চর্যজনক যে মিলার অফিসে থাকাকালীন এসব কথা বলেননি।”
স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিলার বলেন, “এটি নিঃসন্দেহে সত্য যে, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী যুদ্ধাপরাধ করেছে।”
এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় জারর আল জাজিরাকে ইমেইলে বলেন, “যেসব মার্কিন কর্মকর্তা জানতেন যে ভয়াবহ অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, তবুও সরকারিভাবে সেগুলোর পক্ষে কথা বলেছেন, তাঁরা নিরপেক্ষ নন—তাঁরা অপরাধে অংশীদার। মিলার যখন সরকারে ছিলেন, তখন তাঁর নীরবতা ইসরায়েলকে গণহত্যা চালাতে সহায়তা করেছে। তাঁর হাতে ফিলিস্তিনি রক্ত লেগে আছে।”
তিনি আরও বলেন, “যে কেউ গণহত্যাকে সহায়তা করেছে বা প্রশ্রয় দিয়েছে, তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা অন্য আন্তর্জাতিক বিচারব্যবস্থার আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।”
উল্লেখ্য, মার্কিন সরকার ইসরায়েলের সামরিক অভিযানকে দীর্ঘ সময় ধরে সমর্থন দিয়ে এসেছে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইসরায়েলের ভূমিকা ও গাজায় বেসামরিক মানুষের উপর আঘাত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরেই নানামুখী সমালোচনা বাড়ছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, উচ্চপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা যদি সরকারে থাকাকালীন যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে অবস্থান না নেন, তবে তাদের পরবর্তীকালের বক্তব্য গ্রহণযোগ্যতা হারায় এবং অপরাধ সংঘটনের দায় থেকে তারা অব্যাহতি পায় না।
ফরিদ