ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়া টানা-পড়া: চাপের মুখে সিউল

প্রকাশিত: ১৭:৫৬, ৪ জুন ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়া টানা-পড়া: চাপের মুখে সিউল

সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তন এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একাধিক রাষ্ট্রের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। দক্ষিণ কোরিয়াও এই উদ্বেগ থেকে মুক্ত নয়।

সম্প্রতি দায়িত্ব নেওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্টের সামনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলোর একটি হয়ে দাঁড়িয়েছে - কীভাবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবেন, যদি ট্রাম্প ফের ক্ষমতায় আসেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগের মেয়াদে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি তাঁর নীতিমালা ছিল চাপে রাখার কৌশলে ভরপুর। ট্রাম্প প্রশাসন দক্ষিণ কোরিয়াকে মার্কিন সেনা উপস্থিতির জন্য আরও বেশি অর্থ প্রদানে চাপ দিয়েছিল।

একই সঙ্গে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে ট্রাম্পের নাটকীয় ও ব্যক্তিগত সম্পর্ক দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক কৌশলকে অনেকটাই অনিশ্চিত করে তোলে।

নতুন প্রেসিডেন্ট যদি ট্রাম্পের সম্ভাব্য ফিরে আসা মোকাবেলা করতে চান, তাহলে তাঁকে এখন থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের উভয় প্রধান দলের সঙ্গে যোগাযোগ জোরদার করতে হবে। বিশেষ করে মার্কিন কংগ্রেসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন করা তাঁর কূটনৈতিক প্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠতে পারে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সামনে এখন ‘অপরিকল্পিত কূটনৈতিক বাস্তবতা’র জন্য প্রস্তুত থাকা জরুরি। ট্রাম্প যদি দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরেন, তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি, বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং উত্তর কোরিয়া সংক্রান্ত নীতিতে বড় পরিবর্তন আসতে পারে।

সেক্ষেত্রে, নতুন প্রেসিডেন্টকে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বিকল্প পথ খোলা রাখতে হবে  যাতে যেকোনো রাজনৈতিক মোড় ঘোরানোর মুহূর্তেও দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারিত্ব রক্ষা করতে পারে।

বিশ্বের অন্যান্য অংশের মতোই, দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রনীতি এখন অনেকাংশে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির ওপর নির্ভর করছে। এ বাস্তবতায় নতুন নেতৃত্বের জন্য কৌশল নির্ধারণ এখন সময়ের দাবি।
 

হ্যাপী

×