
দখলকৃত পশ্চিম তীরে একটি ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, আমরা ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইহুদি ইসরাইলি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করব। এর আগে বৃহস্পতিবার অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ২২টি নতুন অবৈধ বসতি স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল সরকার। এর মধ্যে কিছু তথাকথিত আউটপোস্ট বা সরকারিভাবে অননুমোদিত বসতিকে বৈধতা দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পথে বড় বাধা বলে আখ্যায়িত করেছে। এদিকে গাজায় ইসরাইলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। খবর আলজাজিরার।
টানা হামলায় উপত্যকাটির উত্তরাঞ্চলের একমাত্র হাসপাতাল আল আওদা অকার্যকর হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। শুক্রবার গাজার কেন্দ্রস্থলে গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনের নতুন ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে একাধিক বিস্ফোরণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। উপত্যকাটির বিভিন্ন অঞ্চলে ইসরাইলি সেনাদের হামলায় হতাহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এর মধ্যে কয়েকজন নিহত হয়েছেন গাজা সিটির সারায়া জংশনে বিমান হামলায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, উত্তর গাজার আল আওদা হাসপাতাল আর কার্যকর নেই। ইসরাইলি বাহিনীর সরাসরি আদেশে হাসপাতাল খালি করা হয়েছে। এখনো সেখানে কয়েক রোগীসহ অর্ধশতাধিক মানুষ অবস্থান করছেন। রাস্তাগুলো চলাচলের অযোগ্য হয়ে যাওয়ায় যন্ত্রপাতি সরানোরও সুযোগ নেই। এদিকে শুক্রবার জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সংস্থা ওসিএইচএর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, গাজা বিশ্বের একমাত্র নির্দিষ্ট এলাকা যেখানে পুরো জনসংখ্যা দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে। ওসিএইচএর মুখপাত্র জেন্স লার্কে বলেন, গাজা এখন পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুধাপীড়িত স্থান। তিনি আরও বলেন, এটাই একমাত্র নির্ধারিত অঞ্চল যেখানে পুরো জনসংখ্যা অর্থাৎ ১০০ শতাংশ মানুষ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে। এই ভয়াবহ মানবিক সংকটের প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ত্বরিত সহায়তা ও মানবিক প্রবাহ নিশ্চিতের আহ্বান জানাচ্ছে। অন্যদিকে হামাসের কাছে পাঠানোর আগেই গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য সবশেষ মার্কিন প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছে ইসরাইল। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লিভিট এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে গাজায় নতুন যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি চুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রস্তাব হামাস প্রত্যাখ্যান করবে বলে জানা গেছে। ক্যারোলিন লিভিটের উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরাইল স্বাক্ষর করার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ হামাসের কাছে প্রস্তাবটি জমা দেন।
প্যানেল