
ছবি: সংগৃহীত
যে পক্ষাঘাত একসময় ছিল ‘অপরিবর্তনীয়’—সেই ব্যাধিকে এবার হার মানালো চীনের বিজ্ঞান! সাংহাইয়ের ফুদান ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এমন একটি নতুন ব্রেন-স্পাইনাল ইমপ্লান্ট আবিষ্কার করেছেন, যা পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীদের হাঁটতে সাহায্য করছে।
এই প্রযুক্তিতে রোগীর মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডে ক্ষুদ্র আকারের ইলেকট্রোড চিপ বসানো হয়। এগুলোর মাধ্যমে মস্তিষ্ক ও পায়ের মাঝখানের নষ্ট হয়ে যাওয়া সংযোগ আবার চালু হয়। ফলে মস্তিষ্কের সংকেত সরাসরি পায়ে পৌঁছে যায় এবং পক্ষাঘাতগ্রস্ত পা আবার নড়াচড়া করতে শুরু করে।
এই ইমপ্লান্ট বসানোর মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই একজন ৩৪ বছর বয়সী পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তি নিজের পা তুলতে সক্ষম হন। মাত্র দুই সপ্তাহের মাথায় তিনি দাঁড়িয়ে হাঁটেন এবং ৫ মিটার পথ পার হন।
এই প্রযুক্তির মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৪ জন রোগীর দেহে সফলভাবে চিপ বসানো হয়েছে। সবাই খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আশ্চর্যজনকভাবে সাড়া দিয়েছেন।
রোগীরা শুধু হাঁটতে পারছেন না—তাদের পায়ের ঘাম, গরম লাগা, এবং টয়লেট সিগন্যালের মতো অনুভূতিও ফিরে এসেছে। এটি দেখায়, শুধু পেশী নয়, গভীর স্নায়বিক সংযোগও পুনরায় কাজ করছে।
ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গবেষক জিয়া ফুমিন বলেন, “আগে সব বড় চিকিৎসা প্রযুক্তি আসতো বিদেশ থেকে, এবার চীন নিজেই বিশ্বের প্রথম ব্রেন-স্পাইনাল ইন্টারফেস তৈরি করলো।”
এই গবেষণা শুধু চিকিৎসা নয়, বিশ্বে নিউরোটেকনোলজির নেতৃত্বে চীনকে সামনে নিয়ে এসেছে।
মুমু ২