
ছবি: জনকণ্ঠ
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা প্রাচীনতম মহালছড়ি উপজেলার একমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বর্তমানে মুমূর্ষু অবস্থায় রয়েছে। যে কোন সময় ধসে পড়তে পারে ভবনটির ছাঁদ। অন্যদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জনবল সংকটে নাজেহাল স্থানীয় উপজেলাবাসী।
প্রাচীন এই উপজেলা মহালছড়িতে ৪৪ বছর আগে ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত পুরানো এই ভবনটি বর্তমানে ব্যবহার অযোগ্য ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে, যে কোন সময় ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনায় স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে প্রতিনিয়ত আতঙ্ক বিরাজ করতে দেখা যায়। এই ভয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা না নিয়ে ভিন্নপথে যাচ্ছেন দুর্গম পাহাড় থেকে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা ভুক্তভোগীরা।
অফিস সূত্রে জানা যায় ২০২২ সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা ৩১ শয্যার মহালছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪ জন চিকিৎসক এবং ১১ জন নার্স থাকার কথা থাকলেও প্রতিদিন দিন সেবা দিতে পারছেন মাত্র ৪ জন চিকিৎসক ও ৪ জন নার্স। আবাসিকভাবে থাকছেন না কোন চিকিৎসক এতে রুগীদের ব্যাহত হচ্ছে জরুরি সেবা।
সরেজমিনে দেখা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভেতরের অবস্থা শোচনীয় হলে সামনে রয়েছে নব নির্মিত ফটক যা তৈরি করতে লেগেছে অর্ধ কোটি টাকা প্রায় । এই ফটক তৈরি না করে যদি ভবন তৈরি করে দেওয়া হতো তবে কিছুটা হলেও চিকিৎসক, নার্স ও সাধারণ মানুষের উপকারে আসতো। এছাড়াও দেখা মিলেনি , কোন প্রকার দালালের দৌড়ত্ম, প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ বক্স,সেবা সম্পর্কিত তথ্য বোর্ড,ঔষধের বা বিভিন্ন প্যাথলজি টেস্টের মূল্য তালিকা, আউটডোর ঔষধ সরবরাহ। তবে দেখা মিলেছে ঔষধ মজুদের তথ্য তালিকা, দু-একজন ডাক্তারের নামফলক, পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, চিকিৎসক ও নার্সদের সদাচরণ।
স্যানেটারি পরিদর্শক মোঃ মনজুল ইসলাম তালকদার জানান, এই ভবনে কাজ করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে, তবুও করে যাচ্ছি দ্রুতই যদি ভবনটি নির্মাণ করা না হয় তো আমরা মহা বিপাকে পড়বো।
এই বিষয়ে মহালছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ধনিষ্ঠা চাকমার সাথে কথা বললে তিনি জন কণ্ঠকে জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি তৈরি হয় ৪৪ বছর আগে, বর্তমানে খুবই বাজে অবস্থা পুরাতন জরাজীর্ণ কমপ্লেক্স ভবনটির। যে কোন সময় ধসে পরে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। জরাজীর্ণ ভবনের পাশাপাশি বিদ্যুৎ পর্যাপ্ত সরবরাহের অভাবে টেকনিশিয়ানরা এক্সরে মেশিনে কাজ করতে পারছেনা,সেই সাথে চিকিৎসক ও নার্সরা আতঙ্কে চিকিৎসা দিতে পারছেনা। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি ওনারা দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
সাব্বির