
ছবিঃ সংগৃহীত
জলাতঙ্ক—একটি প্রাণঘাতী ভাইরাসজনিত রোগ যা মস্তিষ্কে সংক্রমণ ঘটায়। একবার উপসর্গ দেখা দিলে এই রোগে বাঁচার আর কোনো উপায় থাকে না। তবে আশার কথা হলো, যদি সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তাহলে জীবন বাঁচানো যায়—এবং এই রোগ পুরোপুরি প্রতিরোধযোগ্য।
একটা কামড়, একটা আঁচড়ই যথেষ্ট হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি ছোট আঁচড় বা কামড় থেকে শুরু হয় মরণব্যাধি জলাতঙ্ক। তাই এক মুহূর্ত দেরি না করে নিচের পদক্ষেপগুলো নেওয়া জরুরি:
কী করবেন পশু কামড় বা আঁচড় দিলে?
- প্রথমেই ক্ষতস্থানটি ভালোভাবে সাবান ও পানি দিয়ে কমপক্ষে ১৫ মিনিট ধরে ধুয়ে নিন।
- এরপর অবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন—অপেক্ষা করবেন না।
চিকিৎসকের পরামর্শে পোস্ট-এক্সপোজার প্রোফিল্যাক্সিস (PEP) শুরু করুন:
- অ্যান্টি-রেবিস ভ্যাকসিন (একাধিক ডোজে দেওয়া হয়)
- রেবিস ইমিউনোগ্লোবুলিন (RIG) — বিশেষত যদি এটি ক্যাটাগরি III (গভীর কামড়/লালায় ভেজা ক্ষত) হয়
গভীর ক্ষতে অবশ্যই দিতে হবে রেবিস ইমিউনোগ্লোবুলিন। শুধু অ্যান্টি-রেবিস ভ্যাকসিন-এ কাজ না করার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
বাচ্চার জন্য বাবা-মায়েদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বার্তা:
- ছোট, নিরীহ মনে হওয়া আঁচড় বা কামড়ও বিপজ্জনক হতে পারে।
- পথকুকুর, বিড়াল, বানর, বাদুড়—সবাই জলাতঙ্ক ছড়াতে পারে।
- কোনোভাবেই বাড়ির টোটকা বা দেরির আশ্রয় নেবেন না। উপসর্গ দেখা দিলে কিছুই করার থাকে না।
জলাতঙ্ক প্রতিরোধযোগ্য, কিন্তু নিরাময়যোগ্য নয়।
সতর্কতা আর দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়াই একমাত্র সুরক্ষা।
মারিয়া