
ছবি: সংগৃহীত
রীরের সঠিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে পানি অত্যাবশ্যক। ঘাম, প্রস্রাব, বমি বা ডায়রিয়ার মাধ্যমে পানি ও ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি হলে শরীরে নানা জটিলতা দেখা দেয়।
অনেক সময় মুখ শুকিয়ে যাওয়া বা পিপাসার আগেই শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে। বিশেষত বয়স্ক, শিশু ও ক্রীড়াবিদদের ক্ষেত্রে এটি দ্রুত ঘটে। পানিশূন্যতা চরম পর্যায়ে পৌঁছালে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রয়োজন। তবে দৈনিক পর্যাপ্ত পানি পান করে তা সহজেই প্রতিরোধ করা যায়।
নিচে পানিশূন্যতার ছয়টি অপ্রত্যাশিত লক্ষণ দেওয়া হলো:
১. দুর্গন্ধযুক্ত নিঃশ্বাস
পানি কমে গেলে লালার পরিমাণ কমে যায়, ফলে মুখে ব্যাকটেরিয়া বাড়ে এবং নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হয়।
২. শুষ্ক বা লালচে ত্বক
পানিশূন্যতায় ত্বক শুষ্ক ও কম নমনীয় হয়ে পড়ে, অনেক সময় লালচে দেখায়।
৩. পেশিতে টান
ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হলে ব্যায়াম বা গরমে পেশিতে টান ধরতে পারে।
৪. জ্বর ও কাঁপুনি
শরীর নিজেকে ঠান্ডা রাখতে ব্যর্থ হলে জ্বর বা কাঁপুনি দেখা দিতে পারে — যা গুরুতর পানিশূন্যতার লক্ষণ।
৫. মিষ্টি খাবারের প্রতি আকর্ষণ
গ্লুকোজ নিঃসরণে সমস্যা হলে শরীর মিষ্টিজাতীয় খাবারের চাহিদা অনুভব করে।
৬. মাথাব্যথা
হালকা পানিশূন্যতাও মাথাব্যথার কারণ হতে পারে, যা পানি পান করলেই উপশম হয়।
কীভাবে বুঝবেন আপনি পানিশূন্য?
-
ত্বক টান টেস্ট: চামড়া টেনে ছেড়ে দিন। দেরিতে স্বাভাবিক হলে পানিশূন্যতা রয়েছে।
-
মূত্রের রং: গাঢ় রঙের মূত্র পানির ঘাটতির ইঙ্গিত দেয়।
প্রতিরোধে করণীয়
-
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন (পুরুষ: ~৩.৭ লিটার, নারী: ~২.৭ লিটার)।
-
ফল, দই, সবজি ও স্যুপ বেশি খান।
-
পানিতে লেবু বা ফল দিয়ে স্বাদ আনুন।
-
চিনি ছাড়া হারবাল চা/কফি পান করুন।
সবচেয়ে ভালো উপায় হলো শরীরের সংকেতগুলো বুঝে যথাসময়ে পানি পান করা। নিয়মিত পানি পানের অভ্যাস আপনাকে সুস্থ ও সক্রিয় রাখবে।
আবির