
সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের মানুষের উপর চলমান ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের পাশে দাঁড়াতে চাইছিলেন স্বরা ভাস্কর। মুম্বাইয়ের আজাদ ময়দানে আগামী ১৮ জুন ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে আয়োজিত সভার ডাক দেন তিনি। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই কর্মসূচির পোস্টার শেয়ার করে সাধারণ মানুষকে সেখানে যোগ দেওয়ার আহ্বানও জানান স্বরা।
তিনি লেখেন, ‘মুম্বাইয়ের মানুষ, ১৮ জুন সকলে ফিলিস্তিনের জন্য উপস্থিত থাকুন।’
কিন্তু এই মানবিক বার্তা শেয়ার করার পর থেকেই স্বরা হয়ে যান অনলাইনে তীব্র সমালোচনার শিকার।
অনেকে অভিযোগ করেন, তিনি নাকি সবসময় নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ের জন্যই কথা বলেন, অন্য কোথাও অন্যায়ের প্রতিবাদে তার কণ্ঠ শোনা যায় না।
কেউ প্রশ্ন তোলেন, পেহেলগাম, সিরিয়া, সুদান বা পাকিস্তানের হিন্দুদের জন্য কেন তিনি কখনও এভাবে মুখ খোলেন না। কেউ আবার সরাসরি লিখেছেন, ‘ফিলিস্তিনের জন্য এত কান্না, অথচ পেহেলগামের হামলার সময় আপনাকে তো একটিবারও এতটা সরব হতে দেখা যায়নি।’
কিন্তু সমালোচনার মাঝেও অনেকেই পাশে দাঁড়িয়েছেন স্বরার। তারা মনে করেন, এই ভয়াবহ সময়ের মধ্যে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানো শুধু রাজনৈতিক নয়, একেবারে মানবিক দায়িত্ব। কোনো জাতি, ধর্ম বা দেশ নয় ,এটি এখন নিখাদ মানুষের জন্য মানুষের লড়াই।
যদিও এখনও স্বরা ভাস্কর এই সমালোচনার সরাসরি কোনো জবাব দেননি। তবে যাঁরা তাঁকে দীর্ঘদিন ধরে চেনেন, তাঁরা বিশ্বাস করেন যেমন আগেও অটল ছিলেন, তেমনি এবারও নিজের বিশ্বাস আর ন্যায়ের পাশে অটল থাকবেন তিনি।
স্বরা যেন মনে করিয়ে দিলেন ,প্রতিবাদের ভাষা সবসময় সবার পছন্দ হবে না, তবুও অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। কখনও নিঃশব্দে, কখনও বজ্রকণ্ঠে।
হ্যাপী